ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Friday, November 27, 2020

ওলে সোয়িঙ্কা ও রক্তবীজ নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণ

।।চয়ন খায়রুল হাবিব্ব।।

২০২১এ প্রকাশনা প্রকল্প হিশেবে হাতে নিয়েছি, ১৯৯০ এ প্রকাশিত আফ্রিকার প্রথম নোবেল জয়ী লেখক সোয়িঙ্কার প্রথম বাংলা অনুবাদ ও মঞ্চায়নের স্মারক দ্বিতীয় সংস্করণ।সোয়িঙ্কার 'স্ট্রং ব্রিড" নাটকটির অনুবাদ করেছিলাম "রক্তবীজ' নামে।

১৯৯০য়ে নাটকটির মঞ্চায়ন হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলে কমনওয়েলথ সেমিনারে, ঢাবি ইংরেজি বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ ও ডাকসুর যৌথ প্রযোজনায়।নির্দেশনায় ছিলাম আমি, উপদেষ্টা ছিলেন অধ্যাপক নিয়াজ জামান ও অধ্যাপক জামিল আহমেদ, তত্বাবধানে ছিলেন অশোক কর্মকার।মঞ্চায়নের পর পর অনুবাদটি প্রকাশ করেন আবিদ আজাদ, ওনার শিল্পতরু প্রকাশনা থেকে।১৯৯১ এ হলিডে পত্রিকায় অনুবাদ ও মঞ্চায়ন নিয়ে বিস্তারিত রিভিউ করেন নিয়াজ জামান।


'রক্তবীজ' শিল্পতরু সংস্করণের কোনো কপি আমার হাতে নেই।আবিদ ভাই ছিলেন পেশাদার প্রকাশক।এখনকার প্রকাশকদের মতো লেখকদের থেকে টাকা নিয়ে লেখকদের কাছে বই বিক্রি করা প্রকাশক নয়।
উনি আমাকে দিয়েছিলেন সাকুল্যে এক কপি বই।১৯৯০ এ কেন্দ্রীয় যাদুঘরে প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যারা বক্তা ছিলেন তাদেরকে এক কপি করে পৌছে দেয়া হয়েছিল।বক্তা ছিলেন তখনকার বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক ডক্টর হারুনুর রশিদ, অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক নিয়াজ জামান, নাট্যজন আতাউর রহমান, অনুবাদক আলি আহমেদ, সতীর্থ কাজল শাহনেওয়াজ।

১৯৯১য়ে বিলাতে চলে আসি প্রথমবার, তারপর কিছুদিনের জন্য একবার দেশে ফিরে ১৯৯৩য়ে স্থায়ীভাবে দেশ ত্যাগ করি।আজিমপুরের বাসার বইয়ের তাকে ছিলো বছরের পর বছর ধরে কেনা, পাওয়া আমার ও যমজ বোন কঙ্কণের অজস্র ধরনের বই, নিচের কপাট দেয়া কাবার্ডে ফোল্ডারে রেখেছিলাম পাণ্ডুলিপিগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রেমিকা নীলার চিঠিগুলো।সেও অনেক চিঠি।তিন বছর ধরে প্রতিদিন দেখা করা ছাড়াও আমরা দুইজন চিঠি লিখে হাতে হাতে সে চিঠি বিনিময় করতাম।বাংলাদেশের মেয়েরা বিয়ের আগের প্রেম থাকলে তার সাথের অনুষঙ্গগুলো লুকিয়ে ফেলে।নীলার কাছে আমার লেখা চিঠিগুলো বোধ করি নাই।লিখতাম দিস্তা দিস্তা, নিজের চঞ্চলতা, সামরিক জান্তার চাপানো গুমোট, রাত কাবারি বস্তিবাজি সবই লিখতাম।ছাত্রনেত্রী নীলা জানাতো হল যাপন, বাংলা বিভাগ ও ছাত্র ইউনিয়নের দাদা, দিদিদের ফিরিস্তি, ভাই বোনদের কাহিনী।আমাদের দুজনের চিঠি মিলিয়ে আশির দশকের ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হল, ছাত্র রাজনীতি, বস্তি বিনোদন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তুমুল এক প্রামাণ্য পারস্পরিকতা উঠে আসতে পারতো মুদ্রিত পৃষ্ঠায়।

নীলার সাথে ঐ অধ্যায়টুকুসহ আশির চড়াই উৎরাইর ভেতর দিয়ে ঢাকাকে, ক্যাম্পাসকে যেভাবে দেখেছিলাম, যেভাবে নিজের 'উল্লাস পিরের মজমা' কবিতার ভাষায় অস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছিলাম, যে সময়েই তা মনে পড়ুক, যে অনুষঙ্গে ভর করে তা কাছে আসুক, তা এক চলিষ্ণূ উদযাপন।একটা দেশ আটকে আছে সেনাশাষনের জগদ্দলে, যে দেশ আরেক দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে রক্তাক্তভাবে সে জগদ্দল থেকে মুক্ত হবার জন্য।শাষক তরুন প্রজন্মকে তার শত্রু নির্ধারন করেছে, হ্য সে প্রজন্মকে মাদকের ঘোরে নিস্তেজ করে দিতে হবে, নয়তো তাকে দুর্নিতিবাজ নৈর্ব্যাক্তিক করে তুলতে হবে।যে গনতন্ত্রের লক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চ আন্দোলন করছে, তাদের ভেতরেও স্বৈরতন্ত্র ও সামন্তবাদের প্রভাব স্পষ্ট, কারণ শেখার মতো গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংশ করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

নীলার সাথে আমার সম্পর্ক এবংটি,এস, সি, নজ্রুলের মাজার, হাকিম চত্বর, রমনা পার্ক, মল, নিরব হোটেল, দূরের ব্রক্ষপুত্র নদ ঘিরে আরো অনেক প্রেম সে গুমোট নৈর্ব্যাক্তিকতার ভেতর স্বাস্রয়ি নোংগর, যেভাবে পুরানো দেয়ালের ভেতর বটের চারা নিজেকে রোপন করে।সে বটকে অঙ্কুরে উপড়ে ফেলতে চায় কাছের মানুষ, নীলাকে ওর দলের লোকজন কতভাবে স্বরবে, নিরবে আমার প্রতি নিরুৎসাহিত করবার প্রয়াস চালিয়েছিল, আবার একই দলের কতজন দেখলেই আপন করা সজ্জনের হাসি দিয়ে সম্ভাষন জানাতো, একটা ইমোশনাল রোলারকোস্টার।কমরেড ফরহাদের হুইস্কিভেজা কমিউনিস্ট রক্ষনশীলতার বিপরিতে হেডনিস্ট চয়ন বেছে নিয়েছিল বস্তির বাংলা চোলাই, গাজার কলকি আর সাহিত্যের নিমগ্ন অনুশীলন।

নীলা ও সোয়িঙ্কার সাথে দেখা হওয়াটা অনিবার্জ ছিলো, যেভাবে দেখা হয়ে গিয়েছিলো আজিম্পুর কবরস্থানের সামনে বিকলাংগ ভিখারিদের সাথে ঘুরে বেড়ানো ইয়া লম্বা, হাটু অব্ধি লুঙ্গি, খালি পা, খালি গা দশাসই মৃতের মাংসখোর খলিলুল্লাহর সাথে।আমার সতেরো বছরের ছয় ফুটি শুকনা ধেড়েঙ্গা ছেলে যেরকম ফ্রান্সের সাগরপারে একের পর এক এপ্স, চার্জার, লকডাউন লুফোলুফি করছে সেরকম একই শুকনো ছয় ফুটি দেহে ভুভুক্ষু সংগলিপ্সায় কখনো চলে গেছি কাঠের কারিগর বয়রার বেড়ার ঘরে, কখনো হাতেকলমে শিখেছি মঞ্চনাটকের খুটিনাটি।

১৯৯৩ থেকে ২০০৭ ছিলো আমার আত্মমগ্ন নিরুদ্দিষ্টতার বছর।মাঝখানে ১৯৯৯য়ে দেশে ফিরে দেখলাম, আজিমপুরের বাসার বইয়ের তাকে আমার, কঙ্কণের কোনো কিছুই আর নাই।না বই, না পাণ্ডুলিপিগুলো, না চিঠিপত্র।হাতে লেখা, ভালো বাধাইর সোয়িঙ্কা অনুবাদের পাণ্ডুলিপি, মঞ্চায়নের আনুষঙ্গিক আঁকাজোখা, শিল্পতরুর প্রকাশনা কিছুই নাই।আব্বা, আম্মাকে জিজ্ঞেস করে আর মনোবেদনা বাড়াতে চাইলাম না, আমার বড় ভাইকে হারিয়ে, যমজ বোনের অসুস্থতায় দুজনের মন ভেঙ্গে গেছে।বড় বোনকে জিজ্ঞেস করেও আর বিড়ম্বনা বাড়ালাম না।মা, বাবা, যমজ বোনের আহত চোখের দিকে তাকিয়ে নিজের বেদনাবোধ লুকিয়ে ফেলেছিলাম।

ফরাসিনি প্যাট্রিসিয়া সেবার আমার সাথে প্রথম বাংলাদেশে গেছে।চার দিকে অঝর ভরা বর্শার বৃষ্টি।প্যাটি আর আমি খুশি আমার বারান্দার ঘরের সিঙ্গেল খাটে।আব্বা, আম্মা, কঙ্কনকে এতো বছর পর দেখাটাও বইপত্র হারানোর বেদনার চেয়ে বেশি আনন্দদায়ক।সেবারের দেখা হবার ছয় মাস পর আব্বা দেহত্যাগ করবে, আমি তখন বাংলাদেশে থাকবো না।আব্বা, আম্মা দুজনেই আমাকে মনোগত সংলাপে তাদের ভালোবাসা জানাচ্ছিলো বর্ষার ছায়াঘন বৃষ্টির মতো।শৈশবে আমার প্রতি মারমুখি কঠোরতার ভার লাঘব করতেই য্যানো আব্বার সাথে শেষ দেখাটা শ্রাবনসঙ্গিতে মুখর, শিশুদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের শাষনভার লুকাবার জন্য কবিতা ছাড়া আর কোনো জায়গা নাই তা বুঝেই কি আব্বা অনেক দিনের পুরানো একটা গানের খাতা আমাকে দিয়ে বল্লো, এটা তোমার দাদাকে নিয়ে লেখা রায়হানের গানের খাতা।প্যাটি বই পাগল মানুষ, আমার বইপত্র হারানো মনের প্রলেপ দিতে বলেছিল, 'তোমাদের বাসাটা পুরোটাই একটা বই, এত বৃষ্টিতে পুরনো বাসায় বইপত্র সংরক্ষণ কঠিন।'ভাঙ্গা লিরিক, ভাঙ্গা বয়ানের বীজমন্ত্র আমার ভেতর মেলে ধরছিলো যা যা হারিয়ে গেছে তাদের গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতীকে ভর ঝাক ঝাক রাজহাস।

বারান্দার ঘরের আধা দেয়াল ইটের, বাদ বাকিটা কাঠের ফ্রেমে টিনের, রক্তজবার ঝাড়ে বৃষ্টির ঝমঝমে মনে পড়ছিলো আমার, কঙ্কণের বইপত্র সংরক্ষণের তোড়জোড়।কঙ্কণ পড়তো চারুকলায়, আকাআকির ছোট বড় কাগজ, কাঠখোদাই ইত্যাদি সংরক্ষণে অনেক কসরত ওকে করতে হতো।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠে একেবারে মনযোগী ছিলাম না, কিন্তু শিল্প সাহিত্যের বইপত্রকে ধর্মজ্ঞানে যত্ন নিতাম।তার কিছুই আর নাই।বৃষ্টির তোড় কত কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

সোয়িঙ্কার সাথে লন্ডনে দেখা হয়েছিল একবার প্যাটির ব্যবস্থাপনায়।সেমিনারের ব্যস্ততার ফাকে ব্যক্তিগত সময় দিয়েছিলেন।ছাত্রাবস্থায় স্ট্রং ব্রিড বাংলাতে অনুবাদ করেছি শুনে বুড়ো মহাখুশি, পুত্রজ্ঞানে পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।প্রথম সংস্করণের ভূমিকা লিখেছিলাম ছোট।অত তথ্য হাতে ছিলো না, নিয়াজ জামান ও জামিল আহমেদও বেশি কিছু দিতে পারেন নাই।শিবনারায়ণ রায় ও শামীম রেজা সম্পাদিত 'আফ্রিকার সাহিত্য সংগ্রহ ২'এ সেই ছোট ভূমিকা ও মূল অনুবাদটি ঠাই করে নিয়েছে।দ্বিতীয় স্মারক সংস্করণে সোয়িঙ্কার ওপর প্রচুর তথ্যসহ, আফ্রিকার শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্যের ইতিহাস ও বিবর্তন তুলে ধরে ব্যাপক একটি ভূমিকা লিখে শেষ করেছি।

বাংলাদেশে 'রক্তবীজ' মঞ্চায়নের কুশীলবদের নামও স্মারক সংস্করণ ও পোস্টারে দিতে চাই।আশা করি যারা জড়িত ছিল, তারা তাদের সঠিক নাম চরিত্রের নামসহ লিখে জানাবে।মনে পড়ছে অপু, মনি, টুটুল, আহমেদ ভাই, হিরা ভাই, মিজান ভাই, চিঠি, পাভেল, তন্ময়ের নাম, কিন্তু সবার নাম মনে নাই, পুরো নামও মনে নাই।নাচের কোরিওগ্রাফিতে ছিল আর্কিটেকাচারের ছাত্রি তামান্না রহমান, কস্টিউম ডিজাইন করেছিল কঙ্কনের ক্লাসমেট চারুকলার ছাত্রি শিমু আকা সেলিনা খান।মঞ্চায়নের প্রথম রাতে কার্টেন কলে শিমুর নাম বলতে ভুলে যাওয়াতে আমার ওপর কঙ্কনের সে কি রাগ।অনেক নাটকিয় রাগ, অনুরাগ তৈরি হয়েছিল মহড়া ও মঞ্চায়ন ঘিরে।হিরা ভাইকে কি চিঠি এখনো হিরা ভাই ডাকে?প্রডাকশান ম্যানেজার ছিলো ইংরেজির ছাত্র আসলাম শিহির, সে নাটকের সূত্রে আসলামের সাথে আমার পরিচয় এবং স্থায়ী বন্ধুত্ব।তিন রাত্রির পর পর মঞ্চায়নে এক রাতেও নীলাকে দেখলাম না, অবস্য আগের আঠাআঠি ঘনত্ব মহড়ার আগে থেকেই ছুটে গেছিল।দ্বিতীয় রাতে মঞ্চায়নের ঠিক আগে দর্শক সারি থেকে উঠে এসে ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা আমাকে জানালো যে নীলার বাবা দু'দিন আগে মারা গেছে, নীলা ওদের কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে।পরদিন ভোরে আসলামকে নিয়ে সে গ্রামের বাড়িতে গেলাম, নীলার সাথে দেখা করে, কবর জেয়ারত করে আবার ঢাকা ফেরত শেষ রাতের মঞ্চায়নের ঠিক আগে ভাগে!

'রক্তবীজ' অনুবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করবো JSRL, Julekha Syrup Readers Lounge থেকে।প্রচ্ছদ রাখছি প্রথম সংস্করণের মতো, এখানে যেভাবে দেখা যাচ্ছে। বই ও পোস্টারে যোগ হবে কলাকুশিলবদের নাম।প্রচ্ছদ করেছিল ভাস্কর রেজাউজ্জামান।রেজা ভাইর কাছে যে কপিটা আছে তারও খুব দুরবস্থা, সোয়িঙ্কা নামের অংশ খেয়ে গেছে।রেজা ভাই বলেছেন রিটাচ করে একই প্রচ্ছদ নতুন করে করে দেবেন।মুদ্রণে যারা জড়িত ছিলো তার ভেতর কবি আবিদ আজাদ ও সতীর্থ আহমেদ মুজিব আকা কচি আর নাই।মঞ্চায়নে জড়িত কুশীলবেরা সারা বিশ্বে ছড়ানো।ওলে সোয়িঙ্কা প্রায় ৯৫ বছর বয়সে নতুন একটি উপন্যাস বের করতে যাচ্ছেন।এখনই যত্নবান স্মারক প্রকাশের সময়!

প্রকাশনাটির পরিধি ছোট হলেও দাম রাখবো, পোস্টার ও বইসহ ২০০০ টাকা, হ্যা অনেক বেশি দাম রাখবো।অনুবাদ করে, নাটক নির্দেশনা দিয়ে, কবিতা ও প্রবন্ধের বই প্রকাশ করে দেখেছি লেখককে বাঙ্গালি পড়ে পাওয়া আট আনার বেশি ভাবে না, 'হুমায়ুন আহমেদ পড়েছি', 'আমার আম্মাও কবিতা লিখে', 'আমার জামাইও গল্প লিখে' এসব কথাবার্তার পর, 'আপনার একটা বই কিন্তু দিয়েন'! বইয়ের তাক তো উধাও।

একটি স্মারক গ্রন্থ আসলে কোনো কোনো হিশাবে অমূল্য, নিজেকে আয়নাতে দেখবারও একটা অবকাশ তৈরি করে।

চয়ন খায়রুল হাবিব
১৮/১১/২০
ব্রিটানি, ফ্রান্স

কভার, রক্তবীজ প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ, রেজাউজ্জামান