ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Monday, November 27, 2023

দিল্লিতে কত্থক

।।ওয়াফী রহমান অনন্যা।।

শ্রী রাম কলা কেন্দ্রে প্রশিক্ষনরত  অনন্যা

বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। যুক্তরাজ্যে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয়ে থাকে। গাড়ির সামনে গ্লাস ওয়াইপার দিয়ে মুছতেই দেখি 'মান্ডি হাউজ রেস্টুরেন্ট'। দেখা মাত্রই স্মৃতি কাতর হয়ে উঠলাম। ১৯৯৯ সালে আই সি সি আর ( ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ কালচারাল রিলেশন) থেকে কত্থক নৃত্যের ওপর স্কলারশিপ নিয়ে আমার বড় ভাইয়ের সাথে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছলাম।

শ্রী রাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র
কোপার্নিকাস মার্গ, নয়া দিল্লি

আমরা দু ভাই বোন। আমি ছোট,  আর আমার বড় ভাই তন্ময় ৪ বছরের বড়। সে সময় বাবা অসুস্থ থাকায়, ভাই দায়িত্ব নিয়ে দিল্লি পৌঁছে দেয়। আত্নীয়স্বজন না থাকায়, একটা রেস্ট হাউজে লাগেজ রেখে চলে গেলাম মান্ডিহাউজ কোপার্নিকাস মার্গ। কলেজের সামনে নেমে  দেখলাম  বিশাল লাল বিল্ডিং। এই হলো শ্রী রাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র। যেখানে নৃত্যের উপর তালিম নিতে ৫ বছরের জন্য এসেছি। কাগজ পত্র জমা ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের শেষে জানতে পারলাম হোস্টেল মিলছেনা। কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে।

আমার ভাইকে একটু চিন্তিত দেখলাম। তবে বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলো, আস্বস্ত করলো তারা অনেকেই রুম ভাড়া করে থাকে। আমার সাথে আরেকজন নাচের ওপর স্কলারশিপ নিয়ে গিয়েছিল, ওর নাম তিথি। ওদের সাথে ওদের বাসায় আমরা গেলাম লাক্সমী নগর। সেই বাংলাদেশি বোনরা রুম ঠিক করে দিল। আমার বড় ভাই সবকিছু গুছিয়ে দিয়ে ফিরে গেলেন। শুরু হলো জীবনের  নতুন অধ্যায়। বাসায় এক গ্লাস পানি ঢেলে খাইনি। সেখানে রান্না আবার ক্লাস। যাই হোক সকালের নাস্তা মাদার ডেইরি, দুধ,বিস্কিট আবার কখনো কিষাণ জ্যাম ব্রেড, আমুল বাটার দিয়ে করে নিতাম। 

বাসার যে বাড়িওয়ালী ছিলেন, খুব আদর করতেন। উনি পাঞ্জাবী ছিলেন। প্রায়ই লুচি,ছোলে বাটুরে নিয়ে আসতেন। প্রথম দিন কলেজে যাবার পালা, আমি রেডি হয়ে বসে আছি। তিথি খুব গোছানো ছিল, তাই যাবার আগে ঘর গুছিয়ে বের হতো। বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ড ১০ মিনিট। আমরা দুজন বাস্ট্যান্ডে বসে  আছি, ৩১০ বাস অনেকবার সামনে দিয়ে চলে গেলো, কিন্তু প্রতিবার উঠতে গিয়ে ব্যার্থ হলাম। যাই হোক অনেক কষ্টে বাসে চড়ে পৌঁছলাম মান্ডি হাউস।

লাক্সমী নগর, নয়া দিল্লি।

বাস থেকে নামতেই দেখি জমজমাট চারিদিক। দিল্লির সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে মান্ডি হাউস। এখানে আছে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা, শ্রী রাম সেন্টার, ফিক্কি, শ্রী রাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র, সাহিত্য একাডেমি, ত্রিবেণী কলা সঙ্গম। ভাগবান দাস রোডে আসতেই দেখি জুস কর্নার, অনেকই কত্থকের বোল বলছে আবার জুস খাচ্ছে। একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বলল পাশে কত্থক কেন্দ্র। 

আমরা দ্রুত পার হয়ে কোপার্নিকাস রোডে আসলাম। খুব সুন্দর রাস্তা, দুপাশে সারিবদ্ধ গাছ। কাঠবিড়ালিগুলো এ গাছ ও গাছে লাফিয়ে উঠছে নামছে। বাম পাশে দিল্লি  দূরদর্শন কেন্দ্র, উল্টো-পাশে বিশাল লাল বিল্ডিং, আমাদের শ্রী রাম ভারতীয় কলা কেন্দ্র। দূর থেকে ভেসে আসছে নূপুরের ধ্বনি, তাল ও সুরের মূর্ছনা। সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠতে দেখি, কোরিডোরে কিছু ছাত্র, ছাত্রী পায়ে নূপুর পরে প্র্যাকটিস করছে। উল্টো দরজায় কাচের ভেতর দিয়ে দেখলাম, ভরত নাট্যম ক্লাস চলছে। তার পাশের রুমে শাস্ত্রীয় সংগীত গুরুর ক্লাস থেকে শান্তি শর্মা জি'র তান ভেসে আসছে। আমি আর তিথি নতুন, তাই দাঁড়িয়ে  সব কিছু শুধু দেখছিলাম।

তিথি ও অনন্যা

হঠাৎ ভেতর থেকে একজন সাগরেদ এসে বলল, "তুম দোনো আ যাও", সবাই ঢুকলাম। সামনে দেখি খুব সুন্দর মধ্য বয়সী নারী, ওঁনার নাম গুরু শিখা খের। ওনার পাশে বসা একজন তবলা, একজন সারেঙ্গী ও একজন হারমনিয়ম নিয়ে। গুরুজির হাতে আমাদের কাগজ পত্র দেখে জিজ্ঞেস করলেন, 'বাংলাদেশ সে আয়ী হো, ঠিক হ্যায় কুচ কারকে দেখাও তুম দোনো।' আমরা যা জানতাম দেখালাম। বলা হয়নি আমরা দুজনে বাংলাদেশে  বেশ কয়েকবছর একসাথে নৃত্যশিল্পী  শিবলী মোহাম্মদের কাছে নাচ শিখেছিলাম। আমাদের নাচ দেখে মনে হলো খুশি হলেন। কাগজে কিছু হয়তো লিখলেন এরপর বললেন 'আজসে তুম দোনো লাখনৌ  ঘরানার শিষ্য।' 

কত্থক নৃত্যের ৪ ঘরানা। যা পরে পড়াশোনা করে জানতে পারি। লাখনৌ ঘরানা, জয়পুর ঘরানা, বেনারস ঘরানা, নতুন এক ঘরানা হয়েছে রায়গড় ঘরানা। প্রত্যেক ঘরানার নাচের ধারা অনেকটা  একইরকম, শুধু স্টাইল আলাদা। সেদিন ক্লাস শেষে সবার সাথে পরিচিত হলাম, ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশ, নেপাল, কাজাকিস্তান, তুরস্ক, জাপান নানান দেশ থেকে এসেছে নাচ শিখতে।

প্রায়-দিন ক্লাস শেষে ভাবি কত্থক কেন্দ্রে যাবো, আমাদের কলেজে আসা যাওয়ার পথের মাঝেই। একদিন চলে গেলাম। গেটে ঢুকতেই একটি ছেলে ফুল হাতে বিড়বিড়িয়ে কি যেন বলে, হাঁটু গেড়ে বসে প্রেমের প্রস্তাব দিল। আমি তো হকচকিয়ে রেগে গেলাম, পাশে দেখলাম একদল যুবক যুবতী হাসছে, আমাকে বলছে, "ঘাবড়াও মাত, ইয়ে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা হ্যায়, রিহার্সাল চালরাহা হ্যায়।" কিছু না বলে সামনে দিয়ে হেটে গেলাম, কত্থক কেন্দ্রে একেক রুমে একেক গুরুরা ক্লাস নিচ্ছেন।

সহ কত্থক ছাত্রীদের সাথে অনন্যা। শ্রী রাম কলা কেন্দ্র।

আমরা ক্লাস শেষে লাক্সমী  নগরের সবজি মান্ডি থেকে বাজার করে ঘরে ফিরতাম। রান্না তেমন পারতাম না, তাই ডিম ভাজা খিচুড়ি বেশির ভাগ সময় খাওয়া হতো। আবার অনেক সময় রান্না করতে ইচ্ছে না করলে, পাশে ফ্লোরিডা নামে মিনি রেস্টুরেন্টে ছিল। চিকেন বিরানি কিনে খেতাম। অবশ্য স্কলারশিপের পয়সা, তাই উপায় না থাকলেও রান্না করে খেতাম। 

ক্লাস খুব ভালো লাগতো। সেই সকাল ১০ টা থেকে ১ পর্যন্ত চলতো। কিন্তু আমরা ৩ টা পর্যন্ত থাকতাম। এইখানেই প্র্যাকটিস করে নিতাম, বাসে যেয়ে রান্না করে আবার প্র্যাকটিসের এনার্জি থাকতো না। তাই ক্লাস শেষে যতটা পারতাম প্র্যাকটিস করে নিতাম। এখানে নাচ শেখার পর নাচ নিয়ে গুরুর সাথে বিস্তারিত আলোচনা। একটা অঙ্গভঙ্গিকে বিভিন্ন ভাবে এক্সপেরিমেন্টের সাথে প্র্যাকটিস করা। বিভিন্ন তালের উপর তেহাই, টুকরো গ্রুপ করে করে প্র্যাকটিস করতাম।

কিছুদিন পর হোস্টেলে উঠে গেলাম। আমার রুমমেট সঙ্গীতা, বাংলাদেশ থেকে সেতারের ওপর স্কলারশিপ নিয়ে এসেছিল। হোস্টেলের ক্যান্টিনের পরিবেশটা খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু ক্যান্টিন বয় শঙ্কর  মহা কিপটে ছিলো। আমরা চিনি যাতে এক্সট্রা নিতে না পারি সেজন্য চিনির সাথে চা - পাতা মিশিয়ে রাখতো। ক্যান্টিনে সকাল ৮টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট করতে হবে, এরপর ক্যান্টিন বন্ধ। ক্যান্টিনে খাবার গুলো ছিল সকালে ব্রেড, ডিম, দুপুরে ভাত, পালক পনির, সবজি এবং রাতে রুটি-সব্জি,,রাইতা সালাদ। তবে ক্লাস, রিহার্সাল মিলিয়ে খুব একটা ক্যান্টিনে খেতে যেতে পারতাম না। সময় অনেক সময় মিলতো না। বেশিরভাগ সময় রান্নার জন্য হোস্টেল রুমে সিলিন্ডার কিনেছিলাম, ম্যাগি-নুডলস বানিয়ে খেতাম।

বেঙ্গলী মার্কেট, মান্ডি হাউস
তানসেন মার্গে 'তুরান্ত' নামে একটা ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট ছিল সেখানে সুপ, মোমো, নুডুলস, চাউমিন খুবই মজার মজার খাবার দ্রুত ডেলিভারি দিতো। রাস্তার পাশে বসে হেব্বি মজা করে খেতাম, সস্তা আবার মজাদার। এর পাশেই ছিল 'বেঙ্গলী মার্কেট'। নামে বেঙ্গলী  কিন্তু মাছ,ভাত পাওয়া যেত না, নানান ধরনের মিষ্টি, দোসা,ছোলে বাটুরে,নানান ধরনের ডিশ মিলতো। কিছু ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল বার্গার,পিতজা পেস্ট্রি পাওয়া যেত। 

স্কলারশিপের টাকা  পাবার পর আমরা সবাই মিলে একটু খেতে যেতাম। লাচ্ছি আর গোলাপ জামুন আমার প্রিয় ছিল। তবু হিসাব করে চলতাম, সারা মাস  চলতে হবে। হোস্টেলে থাকতে আমাদের ভলান্টিয়ার কাজ করতে হতো। 

দিল্লির মধ্যে  শ্রী রাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের রাম লীলা খুব বিখ্যাত। ছাউ নৃত্যের শিক্ষার্থীরা এই নৃত্য নাট্যটি করতো। দূর দূরান্ত থেকে সবাই দেখতে আসতো। আমরা যারা অন্যান্য নৃত্য শাখায় বা অন্য বিষয় শিক্ষার্থী ছিলাম তারা পুরো মাস ব্যাপী রাম লীলাতে ভলান্টিয়ারি কাজ করতাম। এছাড়া ক্লাস শেষ করে পাশে কামানি অডিটোরিয়াম চলে যেতাম। উস্তাদ জাকির হোসেনে,উস্তাদ আমজাদ আলী খা সাব,পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী , পণ্ডিত হরিপ্রসাদজির বাঁশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুষ্ঠান চলতো। ভলান্টিয়ারির কাজ করতাম, আবার বড় বড় শিল্পীদের অনুষ্ঠান উপভোগ করতাম। মন দিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে হতো।

রাম লীলাতে গুরু (সাদা পাজা্মা, কুর্তা) ও সহছাত্রছাত্রীদের সাথে
অনন্যা, হলুদ শাড়ি পরে মাঝখানে। 

আমার ক্লাসের গুরুজিকে পরের দিন রিভিউ দিতে হতো, কারণ অবজারভেশান ক্লাসের একটা অংশ।নিয়মিত ক্লাস প্র্যাকটিসের কারণে খুব দ্রুত গুরুজির প্রিয় হয়ে উঠি। আমাদের গুরু লাখনৌ থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। উনি আমাকে কম্পিটিশনে পাঠালেন লাল-কিলায়। হার্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত সকল ইন্ডিয়ান কত্থক নৃত্য শিক্ষার্থীর মধ্যে  মধ্যে তৃতীয় হলাম। গুরুজি খুব খুশি হলেন। শুধু তাই না, ভারতের গণপ্রজাতন্ত্রী দিবসে রাষ্ট্রীয় ভবনে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করি। এটা আমার একটা স্মরণীয় স্মৃতি। দিল্লিতে কত্থক সম্রাট পণ্ডিত বিরজু মহারাজের কাছে দু, একদিন ওয়ার্কশপ করার সুযোগ হয়, এটা আমার জীবনের অন্যরকম পাওয়া। উনি কথা বলতে বলতে বোল,তেহাই বানাতেন, যা আমরা শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছি।

পণ্ডিত বিরজু মহারাজ

আমাদের কলেজে পাশেই ইন্ডিয়া গেট ছুটির দিনে চলে যেতাম। কুতুব মিনার,হুমায়ুন সৌধ, লোটাস টেম্পেল এগুলো বার বার যেতাম, আর মুগ্ধ হতাম। পদ্মভূষণ উমা শর্মাজীর গ্রুপে জয়েন করেছিলাম, শুধু মাত্র তার অভিব্যক্তি শেখার জন্য। 

কত্থক নৃত্যের ভাও একটা বড় অংশ। এটা শুধু গুরু শিষ্যের পরম্পরায় শেখা যায়। যদিও হোস্টেলে থেকে বাইরে কাজ করা খুব মুস্কিল ছিল। হোলির সময় দারুণ জমত ক্যাম্পাস।বসন্ত পঞ্চমীর অনুষ্ঠান হতো আমাদের হোস্টেলের লনে।সবাই হলুদ লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবী পরে নৃত্য,সরদ, তবলা,সঙ্গীত পরিবেশন করতো। 

আমাদের ডিরেক্টর শোভা দীপক সিং দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার ছিলেন। একদিন উনি আমাকে ওনার রুমে ডেকে পাঠালেন। বললেন "তুম তো ফেমাস হো গায়ি হো" সামনে একটা ব্রুশিয়ার দিলেন তাকিয়ে দেখি সাহিত্য একাডেমিতে অভিনাশ পাসরিচার ফটো এক্সজিবিশানে আমার ছবি। অভিনাশ পাসরিচার ৫০ র মতো বয়স ,খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার, ইন্ডিয়ার নৃত্য শিল্পীদের ছবি তুলতেন। একদিন উনি আমার কিছু নাচের ছবি তুলেছিলেন। সেগুলোর মধ্যে উনি একটা এক্সজিবিশনে দিয়েছেন। 

সাহিত্য একাডেমি মাঝে মধ্যে যাওয়া পড়তো, সেখানে সুন্দর লাইব্রেরি ছিল। সেখানকার স্টাফ ক্যান্টিনে ডাল আর রুটি মাঝে মধ্যে খেয়েছি। সস্তায় থালি মিলতো। এছাড়া এখানকার উন্মুক্ত মঞ্চে বাঙালি অনুষ্ঠানে অনেকবার নৃত্য পরিবেশন করি। ITO র ICCR অডিটোরিয়ামে যখন আমাদের অনুষ্ঠানের মহড়া হতো, দারুণ লাগতো। পৃথিবীর সকল ভাষার শিক্ষার্থীরা যার যার দেশিয় সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যমে যে মিলন-মেলা , তা অসাধারণ...... এভাবে কতো যে স্মৃতি, অল্প কথায় শেষ করা যাবে না। আজ এ পর্যন্ত!


।।ওয়াফী রহমান অনন্যা।। 

নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য-শিক্ষক

বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য