ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Saturday, June 5, 2021

মুনিয়ার আত্মহত্যা : কাঠগড়ায় হুমায়ুন আহমেদ

।।লুবনা ইয়াসমিন।।

আসলে কি মেহের আফরোজ শাওন, মোসারাত জাহান মুনিয়া, আমিনা তাইয়েবাদের জীবনে কোনো পার্থক্য আছে?কিম্বা লেখক হুমায়ুন আহমেদ, বিপুল বিত্তের অধিকারী সায়েম সোবহান আনভীর, ধর্ম ব্যাবসায়ী মামুনুল হকদের গুনগত পার্থক্য আছে কি না?

হুমায়ুন, সায়েম, মামুনুল ভিন্ন পথে ক্ষমতাবান হয়েছেন এবং সে ক্ষমতার প্রতাপ তাদেরকে কিশোরীদের ঘনিষ্ঠ হতে সহায়তা করেছে।কিশোরীরাও এই ক্ষমতার প্রতাপের প্রতি প্রলুব্ধ হতে হয়, পাওয়ার করিডোরের সোপানে পা রাখতে হয় এসব মূল্যবোধে বড় হতে হতে আর প্রকৃত বড়টুকু হতে পারছে না, অন্য একটা বড়র ছায়ায় বিলিন হয়ে যাচ্ছে, আত্মঘাতি হচ্ছে, বোরখা পরছে, আর বেচে থাকলে জ, ই মামুনদের মতো সরকারের পোষা ময়নাদের সাথে মিলে ছিচকে সব ঝগড়াঝাটি করছে।অথচ এই একই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত গার্মেন্টস শিল্পে কঠোর পরিশ্রম করছে লাখ লাখ নারী।এই একই দেশে পর পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নারী।এই একই দেশের সংসদের স্পিকার নারী।
হুমায়ুন যে ফিল্ম স্টুডিও গড়েছেন, আনভির যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের মালিক, মামুনুল যে ক্ষ্মতার শেয়ার চান তার মূলে আছে নারীদের শ্রম।অথচ এরা এদের জায়গা থেকে নারীত্বের অবমূল্যায়ন করেন।এদের কাউকে সম্পর্ক করতে কেউ মানা করছে না, এদের কাউকে সেক্স করতেও কেউ মানা করছে না।এদের যা ক্ষ্মতা এদের সমবয়সীরাও এদের সাথে সম্পর্ক করতে চাইবে, তা এদের কাছাকাছি হওয়া সমবয়সী নারীদের আহাউহুতে খুব বোঝা যায়।কিন্তু কিশোরিরা তাদের কয়েক গুণ বেশী বয়সী ক্ষ্মতাধর পুরুষদের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে কেনো?এই কিশোরীরা বড় হয়েছে সেই সমাজে, যেখানে বিয়ের বাজারে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্টার, পুলিশ, সেনা কর্তাদের চাহিদার পেছনে রয়েছে তাদের গ্রহনযোগ্য সামাজিক দুর্নিতি।
আমাদের কিশোরীরা শেখ হাসিনাকেও দেখতে পাচ্ছে না, রুবানা হককেও দেখতে পাচ্ছে না।দেখতে পাচ্ছে পচনশীল ডাক্টার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ কর্তাদের।এদেরকে এশপের নৈতিকতা শেখাচ্ছে নৈতিকতাকে পায়ে মাড়ানো পুলিশের কর্তা বেনজির আহমেদ। গনস্বাস্থ্য ব্যানার ঝুলিয়ে এদেরকে প্রাইভেট স্বাস্থ্যের বুলি গেলাচ্ছে জাফরুল্লাহ চৌধুরী।আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত হলেও সেবাখাতের সামাজিক প্রটোকলিও আবদার বন্ধ হবে না, কারণ এদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।আর নষ্টটা খেতে খেতে কোনো কোনো কিশোরী ভাবছে, সবাই খাচ্ছে, আমি কেনো খাবো না, বোরখা পরেও খাচ্ছে, বোরখা ছেড়েও খাচ্ছে।সবাই না।কেউ কেউ খেতে না চাইলে ধর্শিত হচ্ছে।আর সব মিলিয়ে কিশোর, কিশোরীদের পারস্পরিক সহাজাত রোমান্সে তৈরি করা হয়েছে একের পর এক অবদমন আর নিশেধাজ্ঞা।
সোহাগী জাহান তনু মাথার চুল পুরোই ঢেকে রাখতো, এখানে ওখানে গান গাইতো, আর প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ চালাতো।তনুদের যখন ক্যানটনমেন্টের ভেতর হত্যা করে বিচার হয় না, তখন তনুর বয়সী শাওন, মুনিয়ারা অবচেতনে ঠিক করে নেয় যে নিরাপদ থাকতে হলে হুমায়ুন, আনভির, মামুনুলদের সাথে থাকতে হয়।সাগর-রুনি হত্যার যখন বিচার হয় না, তখন বাদবাকি সাংবাদিকেরা ভাবতে থাকে কর্তার ইচ্ছায় খবর পরিবেশনই উত্তম পন্থা।
জেমকন গ্রুপের ট্রিবিউন পত্রিকাগুলো আদাজল খেয়ে কেনো মুনিয়া আত্মহত্যা নিয়ে খবর দিচ্ছে, আমার কাছে তার ব্যাখ্যা হলো, জেমকন আয়োজিত বুদ্ধিজীবি কেনার হাট ঢাকা লিট ফেস্ট নিয়ে বসুন্ধরা এবং তাদের মালিকানাধীন কালের কন্ঠ তেমন গা করে না।কালের কন্ঠের সম্পাদক, উপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলনকে ডাকলে একটু গা করে।ট্রিবিউনের সাংবাদিকেরা চলে জেমকনের বেতনে, জেমকনের বিজ্ঞাপনে, অন্যদের বিজ্ঞাপন না হলেও চলে, তবে পুরোপুরি চলে না, ট্রিবিউনের কলেবরও কাটছাট করা হয়েছে।
আবার অন্য অফলাইন, অনলাইন কথিত গনমাধ্যম, সরকার মুনিয়া ঘটনা নিয়ে তেমন বলবে না, কারন বসুন্ধরার বিপুল সাম্রাজ্য থেকে ছিটেফোটা পাওয়াটাও তাদের ছেলেমেয়েদের আখেরের জন্য ভালো।আর এখানে খোদ এমডির ইমেজের ব্যাপার, ব্র্যান্ডের ইমেজের ব্যাপার।সবাই জানে এই ছিটেফোটা ফুলেফেপে কোথায় যাবে।২০০৬ সালের ৪ জুলাই গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেসন্সের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ১২ মে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিদের ভেতর ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান (সানবীর), ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। ওই রায় বাতিলে সম্প্রতি আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।খালাসের রায় কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট ২০১৬ সালে।
মনে হতে পারে আহা, আমাদের রাস্ট্রপক্ষ কত ভালো, আমাদের হাইকোর্ট কত ভালো।আসলে স্পেশাল ট্রাইবুনাল সানবীরকে যে খালাস দিয়েছে, তারই উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক খেলা এগুলো।মামলা ট্রাইবুনালে আসার আগে তখনকার স্বরাস্ট্রমন্ত্রি লুতফুজ্জামান বাবর, রাজকুমার তারেক রহমান, পুলিশের উচ্চতর গুণধরেরা আক্ষরিকভাবে না কি শত কোটি টাকা নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে।দুদকও খেয়েছে, খাচ্ছে।মুনিয়া আত্মহত্যাতেও বিভিন্ন পক্ষ্য যে তাদের জালগুলোকে খুলে মেলে ধরছে, ধরবে তা লেখা বাহুল্য।
মুনিয়া, তনু এরা বিভিন্ন মাপের কাদম্বরী।মেহের আফরোজ শাওনের কাদম্বরী হবার দরকার নেই।ওনার যে পরিমান বিত্ত তা দিয়ে উনি কিশোরিদের এম্পাওয়ারমেন্টের কাজ করতে পারেন, যাতে তাদের কাদম্বরী না হতে হয়।ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের ১৫ বছরের মেয়ে শাজনিনকে ধর্শন করে হত্যা করা হয়েছিল, যার বিচার পেতে এই বিপুল ক্ষ্মতাধর কর্পোরেট সংস্থার দেড় যুগের বেশী অপেক্ষা করতে হয়েছিল।ট্রান্সকম গ্রুপও এই প্রকল্পে এগিয়ে আসতে পারে।আনভিরের কাছেও কেনো আমরা এই দাবি পৌছে দিচ্ছি না, তিনিও একটি তরুন সংসার শুরু করেছেন।মুনিয়া, তনু, শাজনিনদের প্রাণ আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো না।কিন্তু আরো এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে বা এটা একটা প্যাটার্নে দাঁড়িয়ে না যায়, তার লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে হবে।ডিনায়াল বাদ দিয়ে আমাদের এখন স্বিকার করার সময় এসেছে হুমায়ুন আহমেদ, সায়েম সোবহান আনভির, মামুনুল হক একই সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল।

।।লুবনা ইয়াসমিন।
১/০৫/২১

Photos :
1)Late writer Humayun Ahmed and Meher Afroze Shaon on their wedding.
2)Mosarat Jahan Munia and Sayem Sobhan Anvir
3)Maolana Mamunul Haq and his claimed second wife in a resort.

  • 'লেখক হুমায়ুন আহমেদ, বিপুল বিত্তের অধিকারী সায়েম সোবহান আনভীর, ধর্ম ব্যাবসায়ী মামুনুল হকদের গুনগত পার্থক্য আছে কি না?'...আছে।প্রবৃতিগতভাবে নাই।হুমায়ুন নিজে পয়সা বানিয়েছে।আনভির বাপের পকেটে ফুটানি।আর মামুনুল চাদার পয়সা তসরুপ।পয়সা ইস পাওয়ার, পাওয়ার ইজ প্লেজার, এই ইকুয়েশান এই তিনটা ভালো বুঝেছে, সমানে সমান।


  • 2
  • Lubna Yasmin
     লেখাটি সর্বাংশে অব্জেক্টিভ।উল্লেখিত নামগুলোর আলোকে অসম বয়সের, অসম বিত্তের প্রেম, বিবাহ ছাড়া পেডোফিলিয়ার প্রশ্নটিকে সামনে এনেছে।আমাদের নিম্নবিত্তদের ভেতর পেডোফিলিয়া কোনো আলোচনার বিষয়ে পড়বে না।ফলত সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং বাংলাদেশের সংবিধান বদলে শিশু বিবাহের মেয়েদের দিকের বয়স কমিয়েছে, মেয়েদের নিরাপত্তার দোহাই পেড়ে।মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্তের ভেতর পেডোফিলিয়া চলছে দেদারসে, আলোচনা এদের ক্ষেত্রে ট্যাবু'। 
    Trina Rabbani
     লিখেছেন, ''লেখক হুমায়ুন আহমেদ, বিপুল বিত্তের অধিকারী সায়েম সোবহান আনভীর, ধর্ম ব্যাবসায়ী মামুনুল হকদের গুনগত পার্থক্য আছে কি না?'...আছে।প্রবৃতিগতভাবে নাই।''...... তৃণা রাব্বানি যে প্রবৃতিগত জায়গাতে মিল ধরে, গুনগত রৈখিকতাতে ছাড় দিচ্ছেন, তাতেও অসম সম্পর্ক থেকে নারীরা যে ট্রমাগুলোর মুখোমুখি হয় তার প্রতিরোধে কোনো গঠনমূলক রোডম্যাপ আমরা পাবো না, এখানে আবার বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে দেয়া আনতে হচ্ছে।আমিনা তাইয়েবা সম্পর্কে আমরা কিছু জানতে পারছি না।মুনিয়া এবং আনভিরের বয়সের পার্থক্য আমরা জানতে পারছি।শাওন (জন্ম, ১৯৮১), হুমায়ুন আহমেদ(জন্ম, ১৯৪৮)।শাওনের বিয়ে হয়েছে বৈধ বয়সে।কিন্তু দেখতে হবে কখন থেকে হুমায়ুন রোমান্সের উদ্যস্যে শাওনকে এপ্রোচ করেছে, সেটা কি সাংবিধানিক সাবালিকা বয়স ছিল কি না।বাংলাদেশে বর্তমান সাংবিধানিক সাবালিকা বয়স ১৬কেও বিশেষজ্ঞরা বলছে মানষিক ম্যাচিউরিটির জন্য যথেষ্ট না।শাওন, হুমাইয়ুনের রোমান্স, বিয়ে, আমৃত্যু সংসার চার্লি চ্যাপলিন, উনা ওনীলের দাম্পত্য মনে করিয়ে দেয়।চ্যাপলিন উনাকে এপ্রোচ করে বৈধ বয়সের নিচে, চ্যাপলিন উনার চেয়ে ৩৬ বছরের বড়।উনার বাবা নোবেল জয়ী নাট্যকার ইউজিন ওনীল এবং উনার মা তাদের মেয়ের এই অসম বিয়ে মেনে নেয় নি এবং চ্যাপলিনকে কখনো সামাজিকভাবে নিমন্ত্রন করে নি।শাওন, হুমায়ুনের সম্পর্ক শাওনের অভিভাবক কিভাবে নিয়েছিল তা দেখা যেতে পারে, এপ্রোচের সময় শাওন স্কুলের ছাত্রী।মুনিয়া যে বয়সে আত্মহত্যা করেছে, সাংবিধানিক সাবালকত্বের হিশাবেও তা নিচের বয়স, অর্থাৎ তাকে শিশু বলে গন্য করতে হবে এবং আইন রক্ষাকারীদের সেখানে থেকে দেখতে হবে, যদি দেখতে চায়।হুমায়ুনের মেধা, শ্রম ইত্যাদি নিয়ে যেরকম জনমনে ওভারহোয়েল্মিং মনস্তত্ব তৈরি হতে পারে, তার প্রভাব একজন নাবালিকার ওপর পড়তে পারে, পিয়ার প্রেশারের মত, সেখানে যদি বিপুল ভক্ত পরিমন্ডল থাকে তাহলে হতভম্বতা আরো বাড়ে।সেখানে গ্রুমিংএর প্রশ্ন আসে।এখানে মামুনুল হকদের প্রসংগ এসে পড়ে, কারন বিভিন্ন দৈববানির অজুহাতে, সামাজিক প্রশ্রয়ের অজুহাতে পলিগামি, পেডোফিলিয়া, গ্রুমিং সবই এদের কাছে হালাল, জায়েজ, বৈধ।মামুনুলদের প্রতিরোধ করতেই আমাদের হুমায়ুন, আনভিরদের রৈখিক তুলনাতে সামাজিক ট্যাবু, ডিনায়ালগুলো বাদ দেয়া দরকার।
    7
    • Like
    • Reply
    • Share
    • 1 d
    • Edited
    • Kanak Rahman
      , আপনার রিজয়েন্ডার সরলিকৃত না হলেও সহজবোধ্য।লুবনার 'লেখাটি সর্বাংশে অব্জেক্টিভ', বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত।লেখাটি বরং আমাদের পুজা, ভক্তিবাদ দিয়ে যেসব ডিনায়াল, পুরুষতন্ত্রের প্রতি বায়াস তৈরি হয় তা তুলে ধরেছে।সামাজিক মোবাইলিটির তিন প্রান্ত থেকে তিন পুরুষ, তিন মহিলাকে তুলনায় আনার ফলে জেন্ডার দমনের প্যারাডাইমগত পরিধি বেড়েছে।আপনি মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানো প্রসংগটা আনায় পুরো চিত্রটির নেতিবাচক প্রভাব কিভাবে নারীদের বিপক্ষে গেছে তা তুলে ধরেছেন।এপ্রোচগত সময়ে সংশ্লিষ্ট মেয়েটির বয়স কত, তা থেকে যে গ্রুমিং প্রসংগটা এনেছেন তা আমার পাঠে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন।অনেক দেশ এখন সেক্স অফেন্ডার রেজিস্ট্রেশানের ক্ষেত্রে যৌন যে কোনো সম্পর্ক হবার আগে, এপ্রোচগত সময়ে ভিক্টিমের বয়সকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।যার ফলে শিশুদের কাস্টডিয়ান যে কোনো চাকুরি, ব্যাবসাতে এই বিবেচনা অগ্রাধিকার পাচ্ছে।একজন শিক্ষক যেরকম অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রছাত্রীকে দেহগত কোনো সম্পর্কের জন্য মানষিকভাবেও এপ্রোচ করলে তা দন্ডনিয়, শিশু শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য, এখানে প্রযোজক কাস্টডিয়ান।সামার ক্যাম্প, শিক্ষা সফর, বিনোদনের যে কোনো ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই এপ্রোচগত বয়সের ব্যাপারটা তুনে আনার জন্য।অনেক বয়স্ক লোক, সে নারী বা পুরুষ হোক, কাউন্সেলিং বা সাইকো থেরাপির সময় তাদের কৈশোরে ঘটা না বলা ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়।দেখা যাবে একজন সামাজিকভাবে বহুল আলোচিত, কিন্তু কৈশোরে তার এমন কিছু ঘটেছে, সমাজ তা গ্রহন করে নিয়েছে, তাকে মাথায় তুলছে বা নামাচ্ছে, কিন্তু তার ট্রমাটাকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হলো না, সে জীবন কাটিয়ে দিলো একটা মানসিক বড় কাটাছেড়া নিয়ে।আমি এখন যে 'বিপত্নীকের পক্ষাঘাত' সিরিয়ালটা লিখছি তার চরিত্র কাননবালার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ এনেছি।সেটা ফ্যান্টাসি আকারে, ফ্যান্টাসির ভেতর দিয়ে জেন্ডার আর যৌন দমনের ফরেনসিক।লুবনা যেরকম, ওর সমীকরণে মুনিয়া, শাওন, তাইয়েবাদের নিয়ে এসে আমাদের এই সামাজিক ময়নাতদন্তে উস্কানি দিচ্ছে, সেরকম আপনি গ্রুমিং এর ব্যাপারটা এনে আমাদের কিশোর, কিশোরীদের সামাজিক যৌন প্রতিবন্ধি হবার ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন।আপনার বক্তব্যে আছে, মুনিয়ার আত্মহত্যার সময়ের বয়স।এটাতে আপনার ভুল হতে পারে।ভুল হলেও মুনিয়াকে এপ্রোচের সময় ওর বয়স কত ছিল তাও আপনি এনেছেন।এখানে আত্মহত্যার আগেই অপরাধ ঘটছে, যা সরকার ও সমাজের প্রতি আঙ্গুলি নির্দেশ করে, ব্যাক্তিকে যারা জবাবদিহিতায় আনতে পারছে না।বিভিন্নখানে ট্রলগুলো দেখেই আমরা বুঝতে পারছি, এই জবাবদিহিতা কেনো ঘটছে না।লুবনাকে অবস্যই ধন্যবাদ।আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
    • People who shared this


      Show Attachment
      23
      17 comments
      4 shares
      Like
      Share
    • স্যার লিখাটি আপনি যদি পড়ে শেয়ার দেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে যদি না পড়েই শেয়ার দিয়ে থাকেন প্লিজ আরেকবার পড়ে তারপর ভেবে নিয়ে শেয়ার দিন। এখানে হুমায়ূন আহমেদ আর শাওনের সাথে বাকি দুইজনের তুলনায় করতে গিয়ে লেখক/ লেখিকা যে উদ্দ্যেশমূলক এবং হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যি অনাকাঙ্ক্ষিত, লজ্জাজনক এবং অনভিপ্রেত!
      4
      • Like
      • Reply
      • 18 h
      • Edited
      • Ibrahim Pavel
         এখানে ক্ষমতা ব্যবহার করে অসম প্রেম এর কথা বলেছে!!! তাই হুমায়ূন আহমেদ আর শাওন যথাযথ উদাহরণ!!
        • Like
        • Reply
        • 17 h
      • Author
        আমি পড়েই শেয়ার দিয়েছি। শেয়ার দেয়া মানেই একমত তেমন নয়। আমি চাইছি এ বিষয়ে আলোচনা হোক।
        10
        • Like
        • Reply
        • 17 h
        • Like
        • Reply
        • 16 h
      • Ibrahim Pavel
         হুমায়ুন আহমেদ যখন শাওনের সাথে প্রেম শুরু তখন শাওন ক্লাস নাইনের শিক্ষার্থী। শাওন নিজে বিভাগে সমস্যা এটা বলেছেন। আনভীর এর সাথে হুমায়ুন আহমেদ কে মিলালে তাত্ত্বিক জায়গা থেকে কোন ভুল নাই।
        1
        • Like
        • Reply
        • 15 h
      • একদম ঠিক।
        • Like
        • Reply
        • 14 h
    • Sir💞Ershad Saheb bad porechen boiki😎
      • Like
      • Reply
      • 9 h
      শিশির ভট্টাচার্য্য replied
       
      1 reply
      4 h
    • Raquib Quasem
       ঠিক। সব কিছুর মতো লুচ্চারাও Out of fashion হয়ে যায়।
    •  
      Follow
      লেখাটা ম্যালাফাইড ও একরৈখিক
      • Like
      • Reply
      • 16 h
      • Author
        ফারজানা প্রিয়দর্শিনী
         একরৈখিক হতে পারে কারও মতে। ম্যালাফাইড বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন?
        • Like
        • Reply
        • 15 h
      •  
        Follow
        শিশির ভট্টাচার্য্য
         বিদ্বেষপ্রসূত উদ্দেশ্যমূলক লেখা।
        • Like
        • Reply
        • 15 h
      • Author
        আনি নিশ্চিত নই। অনেকে আমার লেখা পড়েও এ ধরনের মন্তব্য করে। আমি যাদের নিয়ে লিখি, তাদের সাধারণত আমি চিনিই না, বিদ্বেষতো দূরের কথা।
        • Like
        • Reply
        • 4 h
        • Edited
      •  
        Follow
        শিশির ভট্টাচার্য্য
         হাহাহা, স্যার....। আমি মাইন্ডসেট এর প্রোথিত বিদ্বেষ বুঝিয়েছি।
        • Like
        • Reply
        • 3 h
      • ফারজানা প্রিয়দর্শিনী আফরিন
         আপু, আমার কিন্তু মনে হচ্ছে লেখিকার সমন্বয়টা ঠিক আছে। কারণ শিল্প-সাহিত্য, প্রথাগত চর্চা থেকে শুধু করে হালের উগ্রবাদী ও ক্ষমতাশালী সবাই এই ধারাকে যার যার জায়গা থেকে প্রণোদিত করে গেছেন। প্রেষণা যোগাচ্ছেন নিজের জীবনাচারে, প্রচার করছেন এই ধারার জীবনদর্শন। হুমায়ুন আহমেদ অবশ্যই গুলতেকিন ও শাওনের মনোজগতকে নিয়ে খেলেছেন তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক সময়টাতে। উনি সৃষ্টিশীল মানুষ জন্য তার প্রকাশের মাঝে সুন্দর একটা আবেদন আছে, এটাই পার্থক্য মামুনুল আর সায়েম সোবহান আলভীর থেকে। এখানে বিদ্বেষপ্রসূত লেখা হয়েছে, আমার একেবারেই মনে হচ্ছে না। এরা সবাই এক অর্থে পেডোফাইল!
        • Like
        • Reply
        • 1 h
    • কিছু কিছু নারী অতিদ্রুত সিড়ি মাড়াতে গিয়ে ব্যাক্তিগত-সামাজিক-মানসিকভাবে ছিটকে পড়ে। তারপর এরা এ জাতীয় লেখা লেখে। এখানে মেধার চেয়ে হিংসা গিজগিজ কর মাথা দেখছি।
      • Like
      • Reply
      • 16 h



    • তরঙ্গ সম্পাদকীয় :  লুবনা ইয়াসমিনের এ-লেখাটি ফেসবুক জুলেখা সিরাপ গ্রুপে প্রকাশিত হয় ১/০৫/২১এ মে দিবস ও মেয়ে দিবস শিরোনামে।লেখা, কভার ছবি ও মন্তব্যগুলো সেখান থেকে নেয়া হয়েছে।