ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Thursday, February 11, 2021

ববিতা আপাকে শাইখ শিরাজ ভাই আমার নামে নালিশ দিয়েছে!

।।তৃণা রাব্বানি।।স্বরুপ  সোহরোওয়ার্দী।।

ববিতা ও শাইখ শিরাজ

বুঝুন অবস্থা
!জুলেখা সিরাপে, আমি ববিতা আপাকে নিয়ে ফাজলামি করেছি, এটা বলে শাইখ শিরাজ ভাই ববিতা আপাকে আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটিতে দিতে বলেছে।
ববিতা আপা হাসতে হাসতে বলেছে : তাই না কি, শাইখ ভাই, আপনিওতো আমার ময়না আমাকে নকল করে হাসে বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।
শাইখ ভাই : আপা আপনি এখনকার জেনারেশানকে চেনেন না।লাই দিয়ে মাথায় ওঠাবেন না।ডিজিটাল সিকিউরিটিতে দিয়ে দেন।বলেন, আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি মেরে দিচ্ছি।
ববিতা আপা : কাকে, ময়নাকে?
শাইখ ভাই : আরে, কি যে বলেন।তৃণা রাব্বানিকে।
ববিতা আপা : না না ওসবের দরকার নাই।বাচ্চারা বড়দের নিয়ে ফাজলামি করা, রগড় করা ভালো।বড়রা তাতে শেখে, ফ্রেশ হয় ।ধরেন আপনি গাছপালা নিয়ে আছেন, তাদের ওপর কতরকম ঝড় ঝাপটা যায়, ওরা তার ভেতর দিয়ে শেখে, বাচে, বাড়ে।
শাইখ ভাই : কিসের সাথে কি মিলাইলেন।কই গাছদের মহান জীবন, আর কই এসব ফালতুদের বেয়াদপি, ফাজলামি।
ববিতা আপা : আচ্ছা কি করেছে, বলেন তো!
শাইখ ভাই : লিখেছে যে আপনাকে না কি আত্মজীবনীর জন্য বাংলা একাডেমি লাইফটাইম এওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে।
ববিতা আপা : ওহ এটা!ফেরদৌসি আপাকে তো দিয়েছে।আমাকে দিলে ক্ষতি কি!এটা তো আমাকে সম্মান দেখালো মেয়েটা।
শাইখ ভাই : আপনি নাইভ না কি!তারপর লিখেছে আপনি সত্যজিৎ বাবুর স্ক্রিপ্ট লিখতে সহায়তা করেছেন, জহির ভাইয়ের স্ক্রিপ্ট লিখতে হেল্প করেছেন, শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস লিখতেও সহায়তা করেছেন।এসব একটা কথা হলো।
ববিতা আপা : শাইখ ভাই, আপনি শুধু শুধু মাথা গরম করছেন।মিউস বোঝেন?
শাইখ ভাই : কি বললেন, মিউ মিউ, মানে বিলাইর মিউ মিউ!
ববিতা আপা : মিউজ, মিউজ! কি মিউ মিউ করছেন?মিউজ হচ্ছে অনুপ্রেরনাদায়ী।সহায়তা বলা যায়।মানিকদা আমাকে ভাই ডাকতেন,
জহির ভাই, শহীদ ভাই দুজনেই আমাদের সব বোনকে স্নেহ করতেন।এটাই মিউজ।আমি কিন্তু বিরক্ত হচ্ছি শাইখ ভাই।আমি বিরক্ত হলে আমার ময়নাও বিরক্ত হয়।
শাইখ ভাই : ভুল বুঝবেন না আপা, আপনি বাংলা একাডেমি লাইফটাইম এওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি যোগ্য।আমাকে ভুল বুঝবেন না।
এ পর্যায়ে ময়না পাখিটা ডিজিট সিকিরিটি, ডিজিট সিকিরিটি লাগিয়ে দিয়েছে তারস্বরে।
এই আলাপ শুনে ফেলেছিলাম, ববিতা আপাকে একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য ফোন ইনের সময় ওনার ফোন বাই চান্স ওপেন কল এ রাখায় ময়নার চিৎকারের পর ফোন ওপেন কল বন্ধ হয়ে যায়।

তৃণা রাব্বানি
২৯/০১/২১
জুলেখা সিরাপ গ্রুপ/ফেসবুক

তৃণা রাব্বানি জুলেখা সিরাপে যা লিখেছিল ইংরেজিতে :

Bobita to get Bangla Academy Lifetime Achievement Award, 2020 in literature.
Farida Akhter Popy, screen named Bobita, a legendery actress of Bengali film will get the prestigious Bangla Academy Lifetime Achievement Award in literature 2020, for contributing enormously in Bengali creative writing.
Academy spokesman said, other than acting the central role in one of Satyajit Roy's film Bobita actually helped Satyajit to write the film.Same source said, Bobita also helped martyred brother in law Zahir Raihan to write his film scripts and she also helped Zahir's orher martyred brother Shahidullah Kaiser to write his novels.Bangla Academy of Indian state of West Bengal and Bangla Academy of Bangladesh together will give Bobita the Lifetime Achievement Award in literature.Both academy expects that Bobita's achievement will inspire actors to help writers more.Bangla Academy, Bangladesh will publish Bobita's autobiography, travellogue, health guide and gardening book in the coming national book fair in March commemorating the 1952  language movement.
My heartfelt congratulation to Bobita on this auspicious occassion.I also taking the opportunity to congratulate Ferdousi Mazumder, another veteran actress for wining Bangla Academy Literary award for writing her autobiography, publishing photography book and travellogues.
What a joy!

Trina Rabbani 28/01/21 Julekha Syrup


জুলেখা সিরাপ গ্রুপে স্বরুপ সোহরোওয়ার্দীর প্রতিক্রিয়া :

তৃণা রাব্বানির ফেরদৌসি, ববিতা ট্রায়াল সফলের চেয়ে মহা সফল।পোস্ট মর্টেমকে কেনো ময়না তদন্ত বলা হয়?কারণ, ময়না বলে দিতে পারে লেখকের সাথে লেখার অভিনয়কারীর* পার্থক্য!

তৃণা রাব্বানির করা ববিতার লাইফটাইম বাংলা একাডেমি পুরস্কারের পোস্টটির শিরোনাম হতে পারতো, 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফেক না কি ফিকশান?'
দেশি পুরস্কারগুলোর যে ন্যুনতমো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বোঝা গেলো।লোকজন যে ছবির ওপর নিচের লেখা পড়ে না তাও বোঝা গেলো।পুরনো পরিবারগুলো নিয়ে খালা, কাকা, চাচি বলে একটা হুজ্জতি আছে।সনজীদা খাতুনের নাতনির ন্যাকামিতে একজন নাক কুচকে উঠলে এক সাংবাদিক সনজীদা খালা বলে তেড়েফুঁড়ে এলো।ববিতার ভাগ্নে, ভাগ্নিদের দেখা গেলো পপি খালার পুরস্কার প্রাপ্তিতে মহাখুশি।একজন দেখলাম নৃত্য পরিষদের ডাকসাইটে, আরেকজন আওয়ামী কেন্দ্রীয় কালচার কমিটির সদস্য।খবরটা যে ফিকশনাল তা যাচাই করলো না।ফুয়াদ রহমান বলে কেবল একজন যাচাই করতে চাইলো।হিউমারে যোগ দেয়া এক ব্যাপার, আর যাচাই না করে হুজ্জতি বাধানো আরেক।পরে তৃণা ববিতার ময়নাকে দিয়ে 'ডিজিট সিকিরিটি, ডিজিট সিকিরিটি' চিৎকার কারো কানে গেলো কি না বোঝা গেলো না!কান টানলে মাথা আসে।কানটাই পাওয়া গেলো না।

স্বরুপ সোহরোওয়ার্দী

*'লেখার অভিনয়কারী', চয়ন খায়রুল হাবিবের একটি পোস্টে মঞ্জুরুল আজিম পলাশের মন্তব্য থেকে ধার করে।