।।দোবারা।।স্ট্যান্ড বাই মি।।মিউজিক টিচার।।গোন গার্ল।।
।।জিনাত নেসার জামান।।
দোবারা
বলিউডের ঝা-চকচকে মুভির ভীড়ে একটা অন্যরকম আবহের মুভি দোবারা। রোমান্টিক ক্যাটাগরির না বলে সেন্টিমেন্টাল ড্রামা বলাই সঠিক হবে বোধহয়।৬৬মিনিটের ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১৮ সালে।
মানাভ কাউল ও পারভাথী ওমানাকুনথন। |
এরপর সময়ের সাথে ধীরেধীরে তারা বেছে নিয়েছে ছেলে, সংসার আর কাজ নিয়ে যে যার মতো দিন কাটানো তাদের জীবনের গল্প বাক নেয় যখন ছেলে নামকরা বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হলো। একসাথে থেকে একাকিত্বের বোঝা আর না বাড়িয়ে, ব্যান্ক কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফোন সব ঘরেই রেখে চলে গেছে পার্বতী, চিঠি রেখে গেল মোহনের জন্য। বন্ধুবান্ধব এর সাথে কথা বলে- চিঠিপত্র দেখে মোহন বুঝতে পারে, একসময়ের পুরানো বিপ্লবী বন্ধু গহীন গ্রামে আশ্রম করেছে, পার্বতী রওনা দিয়েছে সাউথ ইন্ডিয়ার সেই সুন্দর গ্রামে।
জীবন দ্বিতীয়বার চান্স সবাইকে দেয় না, কারো আবার উপায় থাকে তো সাহস না।পার্বতী কি ফিরে যাবে সেই পুরনো প্রেমিক প্রশান্ত'র কাছে? না কি পার্বতীকে খুঁজতে যেয়ে বাল্যবন্ধু প্রশান্ত কে পাবে মোহন? নাই বা জানলেন এখন।সেটা থাকুক মুভিতে। তবে এটুকু জেনে রাখুন, দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন পার্বতী ও মোহন ভূমিকায় মানাভ কাউল ও পারভাথী ওমানাকুনথন।
IMDB রেটিং ৬.৯/১০
২৮/০১/২১
আমরা মা-মেয়ে একটা পুরনো মুভি দেখলাম, Stand by me, দেখেছেন?স্টিফেন কিং এর বডি নভেলা, ১৯৮২ অবলম্বনে বানানো ছবিটি ১৯৮৬ সালে মুক্তি পায়।
খুবই নস্টালজিক হয়ে গেলাম এই চার কিশোরের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের কাহিনীতে-পাড়ার বড় ছেলেদের কথা থেকে ওরা শুনে ফেলে যে জঙ্গলে একটি ছেলের লাশ পরে আছে এবং উৎসাহিত হয় সেই লাশ দেখার জন্য। বাসায় বয়েজ ক্যাম্পিং এর কথা বলে বের হয় ওরা।
শহর শেষ করে চার বন্ধু গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে হাটা পথ পার হয়ে, রেললাইন পাড় ধরে রওনা দিয়েছে জঙ্গলের দিকে, ওদের গন্তব্যের থেকে পথচলাটা কোনভাবেই কম আকর্ষনীয় ছিল না মুভিতে।
আমার মনে পড়ে গেল সেই অনেকবছর আগে পড়া হাকলবেরি ফিন এর গল্প, সে ছিল বাউন্ডুলে- স্বাধীন, তাই কাছাকাছি বয়সের সব ছেলেদের ভীষণ প্রিয়! হাকলবেরির সেইসব গল্পের মতো এই মুভিটাও চলে এলো আমার পছন্দের তালিকায়।মূল বইয়ের লেখক স্টিফেন কিং ছবিটি নিয়ে বলেছে, ''আমার লেখা থেকে এ যাবত যত ছবি বানানো হয়েছে, এটা তার ভেতর শ্রেষ্ঠ।বাড়িয়ে বলছি না।নির্মাতারা আমার গল্পটা ঠিক ধরেছে।এটা আত্মজীবনিমূলক।"'
প্রেমে ও বিরহে বাঙালীর আশ্রয় কবিগুরু। এই মিষ্টি মুভিটির পেছনে কোন বাঙালীর অবদান আছে সেটা শুরুতেই মনেই হয় ব্যাকগ্রাউন্ড রবীন্দ্রসন্গীতে-
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে, আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে..
আর. ডি. বর্মনের মেলোডিয়াস, নস্টালজিক সুর, শ্রেয়া ঘোসালের গান, শান্ত সুন্দর প্রকৃতি এই মুভির বড় আকর্ষন।নবীন তরুণীর, গানের শিক্ষকের প্রেমে পড়া হয়তোবা তেমন নতুন কিছু নয়, বন্ধুত্ব- পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সব থেকেও কিসের জন্য তবে বিরহ? প্রেমে মান-অভিমান আছে, তবে দ্বিধা-আক্ষেপ এগুলোও যে স্বাভাবিক মানবিক বৈশিষ্ট্য তা মানা কঠিন!
ছাত্র যখন শিক্ষককে ছাড়িয়ে যায় সেই আনন্দ-বেদনার কাব্য কেমন? আর ছেলেমানুষির দিনগুলো পার করে এখনই বা তারা কেমন আছে? ছবিটি কতোটা ব্যাবসা সফল তা জানা নেই। তবে মিউজিক টিচার এর নাম ভুমিকায় মানাভ কাউল এর অভিনয় বহুদিন মনে রাখার মতো, আর অবশ্যই সার্থক, নির্দেশক- সার্থক দাসগুপ্ত।
রটেন টমাটো, ফিল্ম রিভিউতে ছবিটি ৬০% দর্শকের ভালো লেগেছে।
২/০২/২১
গোন গার্ল
২০১২ তে প্রকাশিত হয় গিলিয়ান ফ্লিন/Gillian Flynn এর বই Gone Girl এবং রহস্য, রোমাঞ্চ ধারায় শীগ্রিই সেটা হয়ে দাড়ায় নিউইয়র্কের বেস্ট সেলার থ্রিলার। আর সিনেমা তৈরীর সময়, চিত্রনাট্য লেখেন মূল লেখক নিজে, ডেভিড ফিঞ্চারের পরিচালনায় মুভিটি মুক্তি পায় ২০১৪ তে।মূল চুরিত্রে অভিনয় করেছে রোসামুন্ড পাইক ও বেন আফ্লেক।
নিক, একজন লেখক ও প্রাক্তন কলেজ প্রফেসর, বোনের সাথে একটা বার চালায় সে, ৫ম বিবাহ বার্ষিকীর দিন ঘরে ফিরে সে পেল ভাঙা টেবিল, এলোমেলো ঘর আর বুঝতে পারলো ভয়াবহ খবর, তার স্ত্রী মিসিং। পরিষ্কার ভাবেই মনে হয় কিডন্যাপ হয়েছেন স্ত্রী এমি, যিনি হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট, সুন্দরী, অমায়িক এবং যথেষ্ট প্রভাবশালী অভিভাবকের মেয়ে।
জোর খোজাখুজি শুরু করেছে পুলিশ। দুদিনের মধ্যে এই কেস প্রতিটা নিউজ চ্যানেল, রিপোর্ট, সোশাল মিডিয়ায় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো, তার উপরে এমি গর্ভবতী এই খবর সামনে আসলে, প্রতিবেশীরা ভলান্টারি টিম গঠন করে পুলিশকে সাহায্য করতে, এমি হয়ে গেল আমেরিকার প্রিয়মুখ। বেশ কয়েকটা দিন চলে গেল। তদন্তের সন্দেহ তালিকায় প্রথমে আছে নিক, সন্দেহের কারন- বিয়ের শপথ সে রাখেনি, সে এক অবিস্বাসী স্বামী, তাহলে নিক-ই কি খুন করেছে এমি-কে? বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতিতে মানুষ কি মানুষ থাকবে না! রহস্য আরো জমে উঠে যখন পুলিশ খুঁজে পেল এমি'র নিজের হাতে লেখা ডায়েরি, নিক কি পারবে প্রমান করবে সে যে জড়িত না? আর তাই যদি হয় তাহলে কে দায়ী এই কিডন্যাপিং এ?
সমসাময়িক সময়ের একটা উল্লেখযোগ্য সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার মুভি Gone Girl, যারা থ্রিলার তেমন পছন্দ করেন না কিন্তু মুভি দেখতে পছন্দ করেন, তারাও এটা দেখতে পারেন, সময় নষ্ট হয়েছে এমনটা তেমন বেশি দর্শক বলেনি এই ছবি দেখে।
IMDB রেটিং ৮.১/১০
জোর খোজাখুজি শুরু করেছে পুলিশ। দুদিনের মধ্যে এই কেস প্রতিটা নিউজ চ্যানেল, রিপোর্ট, সোশাল মিডিয়ায় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো, তার উপরে এমি গর্ভবতী এই খবর সামনে আসলে, প্রতিবেশীরা ভলান্টারি টিম গঠন করে পুলিশকে সাহায্য করতে, এমি হয়ে গেল আমেরিকার প্রিয়মুখ। বেশ কয়েকটা দিন চলে গেল। তদন্তের সন্দেহ তালিকায় প্রথমে আছে নিক, সন্দেহের কারন- বিয়ের শপথ সে রাখেনি, সে এক অবিস্বাসী স্বামী, তাহলে নিক-ই কি খুন করেছে এমি-কে? বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতিতে মানুষ কি মানুষ থাকবে না! রহস্য আরো জমে উঠে যখন পুলিশ খুঁজে পেল এমি'র নিজের হাতে লেখা ডায়েরি, নিক কি পারবে প্রমান করবে সে যে জড়িত না? আর তাই যদি হয় তাহলে কে দায়ী এই কিডন্যাপিং এ?
সমসাময়িক সময়ের একটা উল্লেখযোগ্য সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার মুভি Gone Girl, যারা থ্রিলার তেমন পছন্দ করেন না কিন্তু মুভি দেখতে পছন্দ করেন, তারাও এটা দেখতে পারেন, সময় নষ্ট হয়েছে এমনটা তেমন বেশি দর্শক বলেনি এই ছবি দেখে।
IMDB রেটিং ৮.১/১০
৪/০২/২১
জিনাত নেসার জামান
জিনাত নেসার জামান
অটোয়া, কানাডা