ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Thursday, February 11, 2021

আলবেয়ার কামু, প্লেগ ও অচিকিৎস সাম্প্রদায়িকতা

।।লুৎফর রহমান বাবু।।চয়ন খায়রুল হাবিব।।
কামুর 'প্লেগ' ও করোনাকালীন জার্নাল : লুৎফর রহমান বাবু আমি মনে করি, করোনার এই দুর্বিপাকের সময় পড়ার মত একটি উপযুক্ত বই আলবেয়ার কামুর ‘দি প্লেগ’। আলবেয়ার কামু অস্তিত্ববাদী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন। সবাই জানেন অস্তিত্ববাদ মানুষের অস্তিত্বের সংকট, অস্তিত্বের বেদনা নিয়ে কথা বলে। সাহিত্যের একটি টার্ম ‘অ্যাবসার্ড’ শব্দটি কামুই প্রথম ব্যবহার করেন এবং বলেন ‘মানুষের সঙ্গে তার জীবনের আর জীবনের সঙ্গে তার পরিপার্শ্বের বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিই ‘অ্যাবসার্ডিটি’।
এবারের বইমেলায় আমি একদিনই গিয়েছিলাম, সপরিবারে। লক্ষ্য ছিল অনুবাদ গ্রন্থ। আমার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বিশেষ আগ্রহে শেক্সপিয়রের অমর ট্র্যাজেডিগুলি কেনার পর বিশ্বসাহিত্যের আরো কিছু ক্লাসিক উপন্যাস ও গল্পের সংকলন সংগ্রহ করি। আলবেয়ার কামুর ‘দি প্লেগ’ উপন্যাসটি যার অন্যতম। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাওয়ার কথা বলে আলবেয়ার কামুর ‘দি প্লেগ’।
কাজের চাপে হার্ডকপি বই পড়ার সময় পাই না বললেই চলে। কিন্তু এখন তো অফুরন্ত সময়, ‘করোনা সময়’। আমি যে কোনো উপন্যাস বেশ সময় নিয়ে পড়ি। ৩১২ পৃষ্ঠার এই বই আস্তে আস্তে পড়তে থাকি। উপন্যাসটির পরিচিতি থেকে শুরু করে লেখক পরিচিতি, অনুবাদক পরচিতি সর্বোপরি এর ভূমিকা পড়েই আমাদের বর্তমান জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা টের পেয়ে যাই।
‘দি প্লেগ’ পড়ি আর মিলিয়ে দেখি – প্লেগ আক্রান্ত আলজেরিয়ার সমুদ্র-উপকূলবর্তী একটি অবরুদ্ধ শহর আর বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন শহর, তার সাথে আমাদের ঢাকা শহর। অনেক চিত্রই মিলে যায় – মহামারির শুরুতে সরকারের উদাসীনতা, গুজব, আইসোলেশন, কোয়রেন্টাইন, জনসাধারণের স্বাস্থ্য-অসচেতনতা ও গাফিলতি, মুনাফালোভী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা, সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয়, ইত্যাদি অন্যদিকে আছে অনেক অসম সাহসী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী,  কিছু মানুষের অপরিসীম সাহস, ধৈর্য, আর পরদুঃখকাতরতা, ইত্যাদি।
করোনাভাইরসের সংক্রমণের শুধু একটি জীবাণু ভাইরাসের মহামারীকেই দৃশ্যমান করেছে তাই নয়, আরো অনেক কিছু আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। যার মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে ধর্মীয় ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’। ‘দি প্লেগ’ উপন্যাসে শহরের প্রধান গির্জার পুরোহিত ফাদার প্যানালু যেমন ঈশ্বরের পক্ষে বক্তৃতায় মহামারীকে ঈশ্বর প্রদত্ত  শাস্তি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেন তেমনি বর্তমানে করোনার মহামারীকে বলা হচ্ছে ঈশ্বরের অভিশাপ বা আল্লাহর গজব। ধর্মের দোহাই দিয়ে বলা হচ্ছে ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই অথবা আল্লাহ না চাইলে করোনা কারো শরীরে ঢুকবে না। তাই মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ হয় নাই।
শিক্ষিত-মূর্খ মানুষেরা অলৌকিকতায় ও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে, পক্ষে পোস্ট দেয়। কেহ মূত্রপানে বিশ্বাস করে, কেহ কালোজিরায় কেহবা আবার থানকুনিতে। হতাশা, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি আর আতঙ্ক ঘিরে শহরের মানুষের মেজাজ আবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানই যে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আবর্তিত হবে সে ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশমাত্র নেই, যদিও পরবর্তীতে তার ইঙ্গিত আসমানী কোনো কিতাবেই ছিল তা বলা হবে। ফাদার প্যানালু নিষ্পাপ শিশুসহ মৃত্যুর মিছিলে একসময় ভেঙ্গে পড়েন, তার কাছে মনে হয় প্লেগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আসলে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং অবশেষে ঈশ্বরের ইচ্ছের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং প্লেগ-আক্রান্ত হওয়ার পর কোনোরকম চিকিৎসা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
বইটি পড়া আজ শেষ হলো। কিন্তু তার রেশ রয়ে যাবে বহুদিন। প্লেগ নিয়ে অতীতে অনেক বই লেখা হয়েছে। কিন্তু আলবেয়ার কামুর ‘দি প্লেগ’ কালোত্তীর্ণ। কামু বলতে চেয়েছেন, ‘জীবাণু হলো প্রাকৃতিক, বাকি সকল কিছু—স্বাস্থ্য, সততা, বিশুদ্ধতা মানুষের ইচ্ছায় সৃষ্ট।’ উপন্যাসটির দার্শনিক গভীরতা বোঝা যায় শেষ প্যারাগ্রাফে - “দূর শহর থেকে ভেসে আসা তুমুল হর্ষধ্বনি শুনতে শুনতে রিও-র মনে হল, মানুষের এই উল্লাস হয়তো আবার একদিন বিপন্ন হবে, কারণ প্লেগের জীবাণু কখনোই পুরোপুরি ধ্বংস হয় না, হারিয়েও যায় না চিরতরে। বছরের-পর-বছর এই জীবাণু লুকিয়ে থাকে আসবাবপত্র আর কাপড়চোপড়ের মধ্যে, অপেক্ষা করে শোবার ঘরে, ভাঁড়ারে, বুকশেলফে। তারপর সেই দিনটি আসে যেদিন এই জীবাণু মানুষের সর্বনাশের জন্য আবার ইঁদুরগুলোকে জাগিয়ে উত্তেজিত করে মরবার জন্য, এবং ঝাঁকে ঝাঁকে ওদেরকে পাঠিয়ে দেয় আনন্দমুখর কোনো শহরে।”
করোনার তান্ডবও একদিন শেষ হবে। বিজ্ঞানের জয় হবে। মানুষই জিতবে, করোনা চিরতরে পরাজিত হবে যেমন হয়ছে অনেক রোগের বেলায়। করোনাভাইরাস নিয়েও গল্প উপন্যাস হবে, হয়তো আর একটি কালোত্তীর্ণ উপন্যাস লেখা হবে। ততদিন পর্যন্ত জীবিত থাকার বড় সাধ হচ্ছে ! …
প্রাকৃতিক করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে জয় সময়ের বাপারমাত্র, কিন্তু সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তার থেকে মুক্তি কি সহসা মিলবে? লুৎফর রহমান বাবু এপ্রিল/২০২০ ঢাকা

কামুর 'প্লেগ' : অচিকিৎস সাম্প্রদায়িকতা* : চয়ন খায়রুল হাবিব 

সাম্প্রদায়িকতা এবং তার ইন্ধনে জড়িত বাংলাদেশের সাংবাদিকতা রূপান্তরিত কলম-বেশ্যামিতে, যাদের লালসার পরিণতিতে প্রেসক্লাবগুলো আজকে বেশ্যাপাড়ায় পর্যবসিত!যে মুহূর্তে একজন  সাংবাদিক বলে যে আদিবাসী বা সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণ ধর্মিয় নয় বরং রাজনিতিক; সে-মুহূর্তে সে সাম্প্রদায়িকতার রসদ যোগায় এবং একই সাথে রাজনীতির ভেতর সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ আড়ালের প্রয়াস চালায়!এই সাংবাদিকরুপি, গন যোগাযোগ কর্মিরুপি কলমবেশ্যাদের বোনাস-মুনাফার গুজানি হয়েই খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশের সাহিত্য, মঞ্চনাটক এবং সামগ্রিক সংস্কৃতি!বন্ধুকৃত্য করে আমরা আড়াল করছি দানবদের! পিলখানার গণহত্যায় লোকজীবনবাদী-ক্লোনসকল বলে উঠেছিল: ইশ, অল্পের জন্য ফসকে গেলো!
উত্তর আধুনিকদের  ক্লোনেরা মূলধারায় নিজেদের বেচলো লোকজীবনবাদী বলে!আর নিজেদের ক্লোন পরিচয় লুকাতে আড়াল নিলো খেউর, ক্যারিকেচার, স্যাটায়ারের; সম্ভাব্য বিরোধীদের আখ্যা দিল জারজ বলে!ঠিক যে কৌশলে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে বৈতরণী পার হয় তাদের হাই কমান্ড!এসব করে ক্লোনেরা কেউ বুদ্ধিজীবী, কেউ গবেষক, কেউ কবি, কেউ গল্পকার পরিচিতি দিয়ে সাক্ষাতকার দিয়ে বেড়াতে থাকলো! জামাতি 'বাশের কেল্লা' রূপান্তরিত হলো 'পরিবর্তন ডট কমে'!সামাজিক নেটওয়ার্কে স্মার্ট ললনা হিশেবে পরিচিত অবসাদগ্রস্ত জীবনানন্দ আবৃতিকারিনি, চৌধুরানী, সাইয়েদারা প্রথমে 'রগড়' হিশেবে 'লাইক' করতে থাকলো  জামাতের সাফাই গাওয়া বিভিন্ন পোস্ট!অবসাদের পাশবালিশ রূপান্তরিত হলো রাক্ষসে!
নান্দনিক-প্রতিক্রিয়াজাত-ক্লোন কি, কে, কেন তা নির্ণয়ও আমাদের আবেগ, অনুভূতির সুস্থতার জন্য দরকারি!আমাদের জানা দরকার ক্লোনেরা কেন শামসুর রাহমানকে পছন্দ করতে পারে না; আমাদের জানা দরকার মান্নান সৈয়দ কেন কিছু নাম ঘুরিয়ে, ফিরিয়ে তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করে; আমাদের জানা দরকার  আবিদ আজাদের 'শিল্পতরু' প্রেস, প্রকাশনী কিভাবে মৌলবাদীদের খপ্পরে পড়েছিল; আমাদের জানা দরকার এখনকার প্রকাশকদের কিভাবে প্রতিক্রিয়া-জাত-ক্লোনেরা কুক্ষিগত করছে; আমাদের জানা দরকার জহির রায়হান, মাহমুদুল হক, হুমায়ুন আহমেদ, জাহানারা ইমামদের মুক্তিযুদ্ধ্বসহ বাঙ্গালির চেতনা-অবচেতনার  পর্বান্তরের উত্তীর্ণ বহু কাজ থাকা স্বত্বেও কারা বলছে, 'মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কি আসলেই তেমন কোন বিশ্বস্ত লেখা আছে?''আমাদের জানা দরকার কানাডা, লন্ডনে কারা কথিত সংস্কৃতিসচেতন নারীদের লাল, সবুজের শাড়ি পরিয়ে ব্যাবহার করছে ইসলামিজমের বিপণনে!আমাদের জানা দরকার কেন, কথিত মার্ক্সবাদীরা, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকেরা, কতিপয় নাট্যজন, মিডিয়াকর্মি জামাতিদের হয়ে সাফাই গাইছে!এসব কিছুর পেছনেই কাজ করছে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা!মার্কামারা জামাতিদের আমরা চিনি, কিন্তু মার্কাছাড়া জামাতি-মার্ক্সিস্টদের আমাদের কে চিনিয়ে দেবে?

আমাদের জানা দরকার, কারণ কথিত লোকজীবন ও সামন্তবাদের ককটেলে যে বিভিন্নরকম ধনবান এবং নির্ধন প্রতিক্রিয়াজাত-ক্লোন তৈরি হয়, তারাই মরিয়ম মর্মু, হেনা, রাজীব হায়দারের স্থানীয় ও বিশ্বায়িত নিরাবেগ আততায়ী নির্মাণে, বিনির্মাণে সহায়তা করে!ধর্ম এই ককটেলে যোগায় আত্মপ্রবোধ আর স্বৈরতন্ত্র যোগায় ক্ষমতায়নের মোক্ষম রসদ!জাতপাত, লোক ঐতিহ্যের নামে এই ককটেল বাজারজাত করা হলেও বিশ্ব ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এই ককটেলের প্রয়োগ ও পরিণাম একই: ঘৃনাজনিত অপরাধের প্রাতিষ্ঠানিক-প্লেগ এবং সম্পদ অর্জন!
কামু'র 'প্লেগ'
ধর্ম, স্বৈরতন্ত্র, ফ্যাসিবাদের হাত ধরে যে ক্রমশ বর্ণবাদ, লিংগবাদ, যৌন বৈশম্যবাদ ইত্যাকার সামাজিক অসুস্থতার বিস্তার হয়, তার প্রতীকগুলোকে এক সুতায় বেধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আলবেয়ার কামু লিখেছিল তার কালজয়ী উপন্যাস ''প্লেগ''! খেয়াল রাখা দরকার যে হিটলারের তাবেদার ফরাসি ফ্যসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে কামু সক্রিয়ভাবে রেসিস্টেন্স বা প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল!খেয়াল রাখা দরকার যে 'প্লেগ' এর লেখক, 'আউটসাইডার' উপন্যাসেরও লেখক, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র  আইনের অনুশাসন মেনে চলা একজন যান্ত্রিক নাগরিক যে  এমন কি মায়ের মৃত্যুতেও দুঃখবোধে ব্যর্থ, তারপর হুট করে সে একটা অপরাধ ঘটায় এবং তা নিয়েও তার কোন অনুশোচনা নেই!উপন্যাসিকের চোখ দিয়ে এই চরিত্রটা আবিষ্কার করে যে তার অপরাধেরই শুধু বিচার হচ্ছে না, তার আবেগশুন্যতারও বিচার হচ্ছে উপন্যাসের প্রতীকী কাঠগড়ায়!
লক্ষণীয় যে ধর্মের অনুশাসনকে যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতায়নের কেন্দ্রে রাখতে চায়, তাদের নিরাবেগ, অনুশোচনাবিহীন তৎপরতাকে যতবার প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, ততবার তারা বলে ওঠে যে যা যা তারা করছে সেসবই ধর্মিও আবেগ এবং অনুভূতিজাত!চিন্তার যে এই দায়শূন্য, তত্বজাত মুখোশ তার সাথে কিন্তু আর আলোচনা চলে না, তার জন্য দরকার সক্রিয় প্রতিরোধ!কামুর ''প্লেগ'' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ডাক্তার রিউ'র মারি-প্রতিরোধ সঙ্ক্রান্ত বিজ্ঞ্বানসম্মত পরামর্শে কান না দিয়ে যাজক পেনেলুক্স আক্রান্ত শহরবাসীদের বুঝাতে চেয়েছিল যে দৈব অভিশাপের কারণে, ধর্মকর্ম ঠিকঠাক পালন না করাতে প্লেগ নেমে এসেছে!পরে অবশ্য পেনেলুক্স ডাক্টার রিউ'র প্লেগ-প্রতিরোধ-দলে যোগ দিয়েছিল!
ধর্মের আবেগ, অনুভূতির নামে আমরা যেমন আবেগ-মুক্তির পথগুলোকে রুদ্ধ করে দিতে পারি না, তেমনি হেইট ক্রাইমের প্রাতিষ্ঠানিক-প্লেগ আমরা চাইতে পারি না!(অংশ)
চয়ন খায়রুল হাবিব
৫/০৪/১৩
ব্রিটানি/ফ্রান্স
*চয়ন খায়রুল হাবিবের মূল সম্পাদিত অংশ।মূল লেখাটির কোলাজ থেকে অলঙ্করণ করা হয়েছে।
নাসরিন-জয়া হক।তরঙ্গ। মূল লেখাটির ব্লগ লিঙ্ক : কামুর 'প্লেগ' : কতটুকু অচিকিৎস বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা