ফ্রান্সে প্রকাশিত বাংলা ওয়েবজিন। প্রকাশক : প্যাট্রিসিয়া গিদাস, ভ্যান, ৫৬০০০, ব্রিটানি, ফ্রান্স। সম্পাদক : নাসরিন-জয়া হক, চয়ন খায়রুল হাবিব। Contact : choygypsy@yahoo.com

Friday, June 3, 2022

চায়ের পেয়ালায় আইলা, সিডর!

।।তৃণা রাব্বানি।।

ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের পাঁশে চায়ের স্টল।
ফটোগ্রাফি, অভিজিৎ।মডেল, জান্নাতুর নাহার।

এটা কিন্তু মজা হবে ছাতার কাপড়ে শিল্পকর্ম হলে তাতে শরিফের ছাতা কোম্পানির স্পন্সরশীপ, গরু, ছাগলের চামড়াতে কারুশিল্প হলে তাতে বাটা কোম্পানির স্পন্সরশীপ। য্যামনটা চায়ের লিকারে ছবি আকলে চা কোম্পনির স্পনসরশিপ। রিক্সা পেইন্টে শিল্পকর্ম হচ্ছে প্রচুর, তবে সেরকম একটা বড়সড়ো রিক্সাওয়ালা কর্পোরেশান এখনো তৈরি হয় নি।

টুটুল আহমেদের চিত্র প্রদর্শনী।২৮মে - ১২ জুন, ২০২২।

শিল্পের ক্রিটিক কেনো, কোনো ক্রিটিকে আসলে পুরোপুরি অবজেক্টিভ হওয়া যায় না। রথের কথা বলতে কলা বেচার প্রসঙ্গ চলেই আসে। আর তাতে পকেটের ওজন বুঝে কলার সমঝদারিতেও রকমফের ঘটে। রথ চালকদের কোম্পানি বুঝে একজন এক ভাবে বলবেন, আমার মত অভাজন বলবে আরেকভাবে, আরেক তির্যক কোন থেকে।

ওপরের কথাগুলো লিখলাম ঢাকার গ্যালারি চিত্রকে চলমান টুটুল আহমেদের চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে।যেখানে সবগুলো কাজের মাধ্যম হচ্ছে চা পাতার রস বা লিকার। ঢাকায় টিএসসির আশেপাশের চায়ের দোকানগুলোতে রিক্সা পেইন্ট করে হইচই করা হলো। জাহাঙ্গীর নগর চারুকলার এক ছাত্রী ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজের পাঁশে চায়ের স্টলে রিক্সা-পেইন্ট করেও বেশ আলোচিত হলো। ক্লেভার আইডিয়া অবশ্যই। চা ঘিরে এই বিপ্লবী আইডিয়াগুলো কি বিচ্ছিন্নভাবে ধরাধামে আসছে, না কি কর্পোরেট দুনিয়ার ঘাগু মার্কেটিং বিভাগগুলো এটা ভেবে বের করছে? আর্টিস্ট পতঙ্গকুল সে ভাবনার রসস্থ হ্যালোজেনে ঝাঁপিয়ে পড়তে কি মুখিয়ে আছে?

ঢাবি টিএসসির সামনে
বৃষ্টিসিক্ত চুম্বনরত দম্পতি।
ফতোগ্রাফি, জীবন আহমেদ।
চায়ের পেয়ালাতে এত ঝড়, এত আইলা, সিডরের পর রিকশাওয়ালাদের জন্য কি  চা ডিসকাউন্টে দেয়া হবে?  না কি রিকশাওয়ালাদের ছেলেমেয়েদের জন্য চারুকলার তোরণগুলো একেবারে হাট করে খুলে যাবে? রিক্সাওয়ালা এবং তার প্রেমিকা ছাড়া রিক্সার হুড তুলে সবাই চুমোচুমি করতে পারে। চা নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার কি চুমুর তেষ্টা পেয়ে যাচ্ছে? এ বেলা মনে পড়ে গেলো, ভরা বর্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির চায়ের স্টলগুলোর সামনে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির ভেতর পুরো ভিজে জমিয়ে চুমু খাচ্ছে এক প্রেমিক দম্পতি। ফটোগ্রাফার জীবন আহমেদের তোলা সে ছবি ভাইরাল হলো, জীবন চাকুরি হারালেন, চয়ন খায়রুল হাবিব তা নিয়ে 'ঢাকাই মাল্লার' কবিতা লিখে ফেললেন।    

চায়ের লিকারে করা টুটুল আহমেদের বেশ কিছু   কাজ আমি ফেসবুকে  'জুলেখা সিরাপ মেটাভার্সে' দেখেছি। এক সময় উনি নিজে কিছু দিন পর পর আমাদের গ্রুপের দেয়ালে সে কাজগুলো শেয়ার করেছেন। 'তরঙ্গ' ওয়েবজাইনে ছোট করে কাজটির ধারা নিয়েও লিখেছেন। নিউ ইয়র্ক প্রবাসী শিল্পী কাজী রকিব, দাবি করেছিলেন যে এ ফর্মে উনি আগে কাজ করেছেন। সেটি টুটুল আহমেদ 'জুলেখা সিরাপ মেটভার্সে' প্রাঞ্জলভাবে খণ্ডন করেছিলেন। একান্তভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর একটি মাধ্যম নিয়ে নিরীক্ষা চালানো, তাকে ঘিরে প্রদর্শনী এবং তার জন্য দরকারি পৃষ্ঠপোষকতা যোগাড় করা দৃষ্টান্ত-যোগ্য বই কি।

যখন দৃষ্টান্ত তৈরি হয়, সেটা যাতে স্থবিরতায় না গড়ায়, বিচিত্র বাক বদল নিতে পারে, তার জন্য প্রশ্নও তোলা দরকার। ঢাকাতে থিয়েটার শোগুলোতে, চারুকলা, বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠানগুলোতে এরকম দেখেছি, মন্ত্রী, আমলাদের পেছনে সে কি ছোটাছোটি। আমার এক বন্ধুর মামা ছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল, আবদুল মুহিত। ওনাকে নিয়ে শিল্পীদের সে কী টানাটানি, উনিও এতে একটা তেলতেলে মজা পেতেন। যে তেল বেশী মারতে পারতো, ব্যাঙ্কগুলোকে তাদের হয়ে বলে দিতেন। বাংলাদেশে, পশ্চিম বঙ্গে কোনো প্রদর্শনীতে সর্ব শ্রেণির লোকজন আসে না। অথচ ল্যুভ, মিউজি দ্য অর্সি, টেট মডার্নে যতবার গিয়েছি সমাজের সকল স্তরের লোক দেখেছি। বাংলাদেশে ঢাকার লোকজন বলছে 'গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন', কিন্তু আমলাদের সামনে হাত কচলাচ্ছে। মন্ত্রী, আমলা, কর্পোরেট দুনিয়াকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ না থাকলে, ভোক্তাকে ভর্তা করে দেয়া হবে। এখন সেই ভর্তামিতে যোগ হয়েছে শিল্পের মিছিল, যা সবচেয়ে প্রকট 'ঢাকা আর্ট সামিটে'। এটাকে ঢাকা হাভাতে স্নব সামিট বলা যায়।

একটা বিষয়ের অন্তর্গত শক্তি না থাকলে তা নিয়ে ক্রিটিক জমে না, এমন কি সেটা নিয়ে প্যারোডি, স্যাটায়ারও করা যায় না। ঢাকার গ্যালারি চিত্রকে টুটুল আহমেদের প্রদর্শনীর শিরোনাম 'দাগ'। ঢাকার প্রধান মিডিয়ার প্রায় সব কটি এই প্রদর্শনী নিয়ে বলেছে। ট্রিবিউনের চিফ রিপোর্টার উদিসা ইসলাম শিল্পিকে ওনার 'ছোট বন্ধু' বলে শেয়ার করেছেন।

উদিসা ইমন শেয়ার করেছেন,শিল্পের সমঝদার হিশেবে কি? বন্ধু কৃত্য করতে? না কি যেহেতু ট্রিবিউন প্রকল্পটির মিডিয়া পার্টনার, আর ট্রিবিউনের মালিক জেমকন হোল্ডিং এর কাজি এন্ড কাজি চা কোম্পানি প্রকল্পটি স্পন্সর করেছে  বলে? শুকনো মৌসুম, মানে ঢাকাই শীতকালীন সাহিত্য মৌসুমে উদিসা এবং ট্রিবিউনের অন্য সদস্যরা জেমকনের মালিকানাধীন 'ঢাকা লিট ফেস্টে' তাদের ছোটো, বড় বন্ধুদের  বই, পত্র শেয়ার করেন আমাদের সাথে। বোঝা যায় না, সেগুলো পড়া বই, না কি শেয়ার করার বৈ? কাজি এন্ড কাজি কি শিল্পের সমঝদার হিশেবে প্রকল্পটি স্পন্সর করেছে? না কি প্রকল্পটি তাদের চায়ের বিজ্ঞাপনকে সামাজিক নেটওয়ার্কে আর্টিস্টিক ভাবে ছড়িয়ে দেবে বলে? কাজি এন্ড কাজির সাথে আগে আগে পরামর্শ করে চায়ের লিকারে এটা ওটা একে এই সেই গ্রুপে ছাড়া হচ্ছিলো?  চাহিদা ও যোগানের নিক্তি পাল্লাতে  না হয়ে যদি কর্পোরেট মগজের সাথে শিল্পের হৃদস্পন্দনের যোগাযোগ হতো প্রাণস্পন্দনের তাগিদে, কি ভালোই না হতো। 

এশিয়াটিক, জেমকন,, গ্যালারি চিত্রক এখানে ব্র্যাকের কৌশল নিয়েছে। শৈলী, রূপকল্প সব নেয়া হবে লোকজ, তার পর সেই লোকজতাকে মার্কেটিং করা হবে উচ্চ মধ্যবিত্তের জন্য। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সেগুলো কিনতে মুখিয়ে থাকবে, যাতে সামাজিক নেটওয়ার্কে সেসব সাজিয়ে দু চারটা ছবি দিতে পারে। তার পর শিল্পী বলবে আর্ট সবার জন্য নয়, কারো কারো জন্য। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসে ইংরেজি শিখে জীবনানন্দ যেরকম বুদ্ধদেব বসুদের স্নবারির সাথে সূর মিলিয়ে বলেছিল, 'সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।'

টুটুল আহমেদের প্রদর্শনীতে উদ্বোধক  আসাদুজ্জামান নুর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার আগে বা পরে শিল্পীদের ভূমিকা কখনই রচিত হয়নি। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আমাদের ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে, সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে সেগুলো ধরে রাখতে হবে।’ টুটুল আহমেদ বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আমার মধ্যে দাগ কেটেছে, তা নিজের ভেতর ধারণ করে প্রকাশ করেছি আমি। আমার, পরিবার, প্রকৃতি ও পরিবেশের, সমাজের, রাজনীতির এবং রাষ্ট্রের দাগ সমূহের প্রতিচ্ছবি এই শিল্পকর্মগুলো।’ উদ্বোধক ও শিল্পী য্যানো কিছু একটা বলতে হবে, তাই বলা। আসাদুজ্জামান নুরের শিল্পী জীবনের শুরু বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনে, মঞ্চ অভিনয়ে। ওনার মন্ত্রিত্ব হয়েছে, ওনার ও প্রয়াত আলী যাকেরের নেতৃত্বে এশিয়াটিক মার্কেটিং বিপুল, বিশাল হয়েছে, কিন্তু গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনসহ বাংলাদেশের থিয়েটার মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্লেভার আইডিয়াগুলো যদি সব জেমকন, ব্র্যাক, ইউনিলিভার্সের দিকে চলে যায়, তাহলে মঞ্চের জন্য পড়ে থাকে শুভঙ্করের ফাকি। থিয়েটারের নামে যারা নাট্যকলা বিভাগগুলোতে ভিড় করে তাদের দিকে দ্রোণাচার্যের তীর উঁচিয়ে রাখে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো। পারফর্মেন্সের, সঙ্গীতের, নাচের, চারুকলার ছাত্রছাত্রী এদের কাছে পণ্য বিক্রির হাতিয়ার।

টুটুল আহমেদের একটা ছবি বুদ্ধের, কোনটাতে ক্যানভাসে কিছু মুখ, কোনোটাতে ফ্রেম ভরা খয়েরি ছিট ছিট। সেগুলো কিভাবে, 'পরিবার, প্রকৃতি ও পরিবেশের, সমাজের, রাজনীতির এবং রাষ্ট্রের দাগ সমূহের প্রতিচ্ছবি' তা আমি বুঝে উঠিনি। 'জুলেখা সিরাপ মেটভার্সে' দেখবার সময়েও মনে হয়েছে, মিডিয়াতে দেখা একজিবিশানের দেয়ালে ঝোলানো ছবি দেখেও মনে হয়েছে, একই ফ্রেমকে বেহুলাও বলা যাবে, জুলিয়েটও বলা যাবে। শিল্পীরা যদি অন্তর্মুখী হয়, তাহলে তাদের সৎসাহস নিয়ে বলার দরকার, আমার মন যেভাবে চেয়েছে করেছি এবং  আমার দক্ষতায় যতটুকু কুলায় সেভাবে উপস্থাপন করেছি। তা না হলে যারা সত্যিকারভাবে পরিবেশের, সমাজের, রাজনীতির, রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি আঁকতে চাইবে, তারা ভেবে বসবে যে হেঁয়ালি দিয়ে এসব প্রতিবেদন সেরে দেয়া যায়। আর বড় স্পন্সর পেয়ে গেলে, মন্ত্রী সাংসদ যদি এসে হেঁয়ালিতে হাত তালি দেয়, তাহলে হেঁয়ালিগুলোকেই এক্সট্রা লার্জভাবে আঁকতে হবে।  

জয়নুল যখন 'দুর্ভিক্ষ সিরিজ' করেছে, তখন যদি ওনার মাথায় থাকতো যে ইস্পাহানীর প্রমোশন কিভাবে হবে, তাহলে আমরা 'দুর্ভিক্ষ সিরিজ' কি যেভাবে পেয়েছি, সেভাবে পেতাম? সব শিল্পকর্ম যে  দুর্ভিক্ষ, ক্ষরা, যুদ্ধ নিয়ে হবে তা নয়। আমাদের উদযাপনগুলো আঁকায় আসতে পারে, লক্ষ্মী, সরস্বতী, ইদের বাজার সবই আসতে পারে। শিল্প দেখতে প্রচুর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে, যা হয় ল্যুভে মোনালিসার ঘরে। শিল্প ও শিল্পীকে নিয়ে জনতা দাঙ্গা বাধিয়ে দিতে পারে, যা হয়েছে ফিদা হুসেনের লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে। শিল্পের নিলামে ধনিরা তাদের সঞ্চয় উজাড় করে দিতে পারে, যা হয় জেফ কুনের শিল্পকর্ম ঘিরে। শিল্প সামাজিক এস্টাবলিশমেন্টকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, স্যাটায়ার করতে পারে, হাসাতে পারে, উজ্জীবিত করতে পারে, যা করে থাকে ব্যাঙ্কসির স্টেনসিল গ্রাফিটি শিল্পকর্ম। শিল্প অনেক রকম, অনেক ভাবে আমাদের বোধকে থমকে দিতে পাড়ে, শান্ত করতে পারে, চঞ্চল করতে পারে।

এবার অবজেক্টিভ হই। হতে পারবো কি? চা বানানো, চায়ে চুমুক নিয়ে জাপান, রুশি, ইংরেজ, ফরাসিদের বিভিন্ন কেতা আছে। ভারতে, বাংলাদেশে এত চা উৎপন্ন হয়, কিন্তু চা ঘিরে কোনো বিশেষ সংস্কৃতি গড়ে উঠে নি। যারা চা বাগানে কাজ করে, যারা পথের ধারে চায়ের স্টল দেয়, যেসব শিশুরা ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করে, তাদের নিয়ে আমরা সামাজিক উচু, নিচু করি। অথচ এটা একটা শিল্প। গাদা গাদা চা পাতা, এত এত কন্ডেন্সড মিল্ক, এত এত চিনি দিয়ে যেটা হয় সেটা কাদা কাদা চায়ের পায়েস। গ্যালারি চিত্রকের দেয়াল জুড়ে একই ধরনের, একই আঙ্গিকের একের পর এক ছবি দেয়ালে গাদাগাদি হোক বা অনেক ছড়িয়ে হোক, তা কি বিষয় বা মাধ্যম ঘিরে আমাদের কোনো গল্প বলতে পেরেছে? ভাবাতে পেরেছে? চারুশিল্প শেষ পর্যন্ত অভিব্যাক্তিজাত শিল্প। এই শিল্প হয় গল্প বলে, নয় গল্পকে খণ্ডন করে বা স্টেটাস কো চ্যালেঞ্জ করে। টুটুল আহমেদ কিছুটা গল্প বলতে চেয়েছেন, , আমরা যেটাকে বলি আধাআধি। বড় বড় ফ্রেম হলেও এটা আসলে মিনিমালিস্ট শৈলী, অর্থাৎ কম বলে বেশী অর্থ তৈরি করার প্রয়াস। মিনিমালিজম আসলে কখনোই কোনো মাধ্যমে পুরো গল্প বলতে পারে নি। কম কথা আসলে কম কথাই, নীরবতা কিছুতেই সরবতা নয়।

একটা এক্সিবিশন করা হয় সম্পর্ক তৈরি করতে, যুক্ত হতে। সেদিক থেকে এরকম একজিবিশানের পাঁশে আরো আরো পৃষ্ঠপোষকের এগিয়ে আসা দরকার। তবে আমাদের সব জন্রেতে এখন সেসব শিল্পীদের দরকার, যারা একটা গল্প পুরোপুরি বলতে পারবে, সেটার ভঙ্গি বিচিত্র হতে পারে, কিন্তু সেটা বেহুলার গল্প হলে যাতে জুলিয়েটের গল্প মনে না হয়।

তৃণা রাব্বানি